সুদীপ রায়চৌধুরী: কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা বলয়ে রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ইতিমধ্যে। কত বাহিনী পাঠানো হবে, তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সংঘাত চলছে এখনও। চিঠি-চাপাটি দেওয়ানেওয়া চলছে। তবে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) এসে পৌঁছেছে। আরও বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আবেদন জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তারই মধ্যে জওয়ানদের কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ ধরে কমিশনার, বিএসএফের আইজি, সিএপিএফ (CAPF) ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে বৈঠক হয়। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাহিনীর মূল কাজ হবে নাকা চেকিং, এরিয়া ডমিনেশন, জনগণের আস্থা বাড়ানো, আন্তর্জাতিক এবং সীমানা ও সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, কেন্দ্র কত বাহিনী দিচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে বুথভিত্তিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে। ইতিমধ্যে ৬৫ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। বাকি বাহিনী রবিবারের মধ্যে আসবে বলে খবর। এছাড়া ৬৫ হাজার পুলিশ রয়েছে গোটা রাজ্যে। বাড়তি কয়েক কোম্পানি স্টেট স্পেশ্যালাইজড ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। তবে রাজ্যের মোট ৬৩ হাজার বুথের প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা যাবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ছিলেন রাজীব সিনহা।
কমিশন সূত্রে খবর, মোট কত বাহিনী আসছে, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি নিয়ে কী দাঁড়াচ্ছে। সেসব দেখেই বুথের নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত। সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস কমিশনের। এদিনের বৈঠকে কমিশনার জানিয়েছেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১,৩০০ অভিযোগ জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ১,২০৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.