নব্যেন্দু হাজরা: ধরনা, স্লোগানে উত্তাল বিধানসভা। এর মধ্যেই ‘চপ’ সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল অধিবেশন। বিজেপির বিধায়কের কাছে চপ খাওয়ানোর আবদার জানালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়করা। ‘শত্রু’ শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের নিজের জেলায় আমন্ত্রণ জানালেন। রীতিমতো রেঁধে খাওয়ানোর প্রস্তাবও দিলেন তিনি।
ব্য়াপারটা কী?
বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের একাধিক টোল প্লাজাতে পর্যটকদের যে সমস্যা হয় হয় তা মেটানোর জন্য পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাছে অনুরোধ জানান বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। পর্যটন মন্ত্রী জানান, বিষয়টি পরিবহণ দপ্তরের অধীনে। তবুও বিষয়টির সঙ্গে যখন পর্যটকরা জড়িত তা নিয়ে তিনি কথা বলবেন।
এর পরই বিজেপির বিধায়কের কাছে চপ খাওয়ার আবদার জানান মন্ত্রী। সেই সুরে সুর মিলিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসরাও একই আব্দার করেন। সেই প্রেক্ষিতে বিজেপির বিধায়কও সকলকে বাঁকুড়ায় আসার আমন্ত্রণ জানান। পরে নীলাদ্রিশেখর দানা জানান, বাঁকুড়ার মানুষ খেতে এবং খাওয়াতে খুবই ভালোবাসে। শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়করা যদি বাঁকুড়ায় আসেন তাহলে জেলার মানুষ অবশ্যই তাঁদের স্বাগত জানাবেন। বাঁকুড়ার মানুষ চপ-মুড়ি খেতে খুবই ভালোবাসে। সারাদিনে একবার এই খাবার না খেলে তাঁদের খাদ্যতালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। একইসঙ্গে পোস্ত এবং বিউলির ডাল খেতেও বাঁকুড়ার মানুষ ভালোবাসে। বিধায়ক আরও বলেন, “আমি নিজে রান্না করতে বেশ ভালোবাসি। তাঁরা যদি আসেন তাহলে সেটা আরও ভালোভাবে করা যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর চপশিল্পের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বাঁকুড়ার বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি নিজেই বেকার। একইসঙ্গে রান্না করতে ভালোবাসি। তাই শাসকদলের বিধায়করা এলে চপ খাওয়াতে পারব।” আগে বঙ্গ রাজনীতিতে চপশিল্প নিয়ে হাজার চাপানউতোরের সাক্ষী থাকলেও এবার এই চপকে কেন্দ্র করেই অন্য় এক রাজনীতি দেখল বিধানসভা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.