প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বে সেকথা জানান রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। একইসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে কেন্দ্রের নীতি বদলের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। পরে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে কর্মীপদ ফাঁকা রয়েছে ২১ হাজার ৪৯২টি এবং সহায়িকা ১৩ হাজার ৯০৬টি। একাধিক জেলায় সেই শূন্যপদ পূরণের কাজ শুরু হয়েছে। মাঝে কেন্দ্র নিয়ম পালটেছিল। তাতে নিয়োগ ধাক্কা খায়।”
মন্ত্রী আরও জানান, আগে নিয়ম ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াতে গেলে তাঁকে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে হবে। আর সহায়িকা পদে এইট পাস। কিন্তু মাঝে নিয়ম বদলে কেন্দ্র বলে উভয় পদের জন্যই উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পাস হতে হবে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, যিনি রান্না করবেন, তিনিও যদি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেন, আবার যিনি পড়াবেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও একই কী করে হয়! এই নিয়মের আপত্তি জানানো হয় রাজ্যের তরফে।
পাশাপাশি আগে নিয়োগের বয়সসীমা যেখানে ১৮-৪৫ ছিল, তা কমিয়ে ১৮-৩৫ করা হয়েছে। তারও প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু কেন্দ্র নিয়ম বদলায়নি। নতুন নিয়মেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে। তবে নীতিতে সামান্য বদল হয়েছে। জানানো হয়েছে, সহায়িকা পদে যারা কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের ১০ বছর চাকরির মেয়াদ হয়ে গেলে তাঁরা কর্মীপদে কাজে যোগ দিতে পারবেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উদাসিনতার অভিযোগও তোলেন মন্ত্রী। জানান, মিড-ডে মিলের টাকা ২০১৭ সাল থেকে বাড়ায়নি কেন্দ্র। এখনও সেই ৮ থেকে ১২ টাকার মধ্যে তা ঘোরাফেরা করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.