পারমিতা পাল: অষ্টম দিনেও মেডিক্য়াল কলেজের জট কাটার ইঙ্গিত মিলল? বৃহস্পতিবার মেডিক্যালে যখন ডাক্তারি পড়ুয়ারা অনশন করছেন ঠিক সেই সময় পাশেই ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তবে মেডিক্যাল কলেজে এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। বরং সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে স্বাস্থ্যসচিব জানান, “এনিয়ে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে নেব।” এই মন্তব্য করার পরই স্বাস্থ্যভবনে যান মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলে মনে করছে, আন্দোলনের অষ্টম দিনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত মিলল।
এদিন অনশনকারী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী অনশন করেছেন অভিভাবক। শুধু বর্তমান পড়ুয়াদের অভিভাবকই নয়, পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন ছাত্রদের পরিজনরাও। সল্টলেক থেকে মেডিক্য়াল কলেজে ছুটে এসেছিলেন এক মহিলা ঈশানী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ভাই ছিলেন এই কলেজের পড়ুয়ারা। আপাতত তিনি বিদেশে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। সেই ভাইয়ের কলেজে আমরণ অনশন করছেন ৬ পড়ুয়া। তা দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি ঈশানী দেবী। ছুটে এসেছেন মেডিক্যাল কলেজে। তিনি জানালেন, ওদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। সরকারের উচিত দাবি তাড়াতাড়ি মেনে নেওয়া উচিত। ওরা তো ছোট, সহ্য়শক্তি কম।”
এদিকে ডাক্তারি ছাত্রদের আন্দোলনের জেরে মেডিক্যালে চিকিৎসা ব্য়বস্থা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী সাম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আমরা তো চিকিৎসা করি না। কিন্তু পিজিটির যেসমস্ত দিদি-দাদারা আমাদের পাশে থাকছে তাঁরা কাজ শেষ করে আসছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব পড়েনি।” অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন নিয়েও। সেই অভিযোগও খারিজ করেছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের সাফ দাবি, আন্দোলনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক ইন্ধন নেই।
তবে দাবি না মানলে আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই সাফ জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। দুই আন্দোলনকারী সাম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দাবির প্রতি সম্মান না জানালে আলোচনার টেবিলে যাব না। আগে থেকে দাবি বাতিল করে আলোচনার টেবিলে ডাকা হলে আমরা যাব না।” তবে কলেজের প্রিন্সিপাল গিয়েছেন স্বাস্থ্যভবনে। তবে এবার কি রফাসূত্র মিলবে, শুরু জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.