সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মতানৈক্যে জড়ালেন রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিতর্কিত ব্যাখ্যা করলেন জগদীপ ধনকড়। তা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের। হাওড়ার এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, “সমস্ত ধরনের হিংসার নিন্দা করা উচিত। বাছাই করে কোনও হিংসার নিন্দা প্রত্যাশিত নয়। এই ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে বিভেদ মেনে নেওয়া যায় না।”
রাজ্যের যে কোনওরকম অশান্ত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আগে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই নিয়ে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের মতভেদও তৈরি হয়েছে বিস্তর। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্যের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যেকার সেই দূরত্ব কিছুটা কমলেও, ফের তা উসকে উঠল দিল্লির হিংসাকে কেন্দ্র করে। গত সপ্তাহে যে নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজধানী, প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৪৭ জনের, গোড়া থেকেই তার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলে তকমা দিয়েছেন। আজ কালিয়াগঞ্জের সভা থেকেও বিজেপিকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এরপরই হাওড়ার অনুষ্ঠান থেকে পালটা জবাবে মুখর হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, “দিল্লির হিংসার নিন্দা করলে, পশ্চিমবঙ্গের হিংসার ঘটনাগুলোকেও নিন্দা করুন। হিংসাকে রাজনৈতিকভাবে তফাৎ করা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের হিংসার ঘটনাগুলো তো আমাকেও ব্যথিত করেছে। আমি বারবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।” একথা বললেও, রাজ্যপালের নিজের মুখে কিন্তু দিল্লি নিয়ে সে অর্থে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি। অথচ তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বেগকে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ তুলছেন। রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। শাসক ঘনিষ্ঠ অনেকেরই অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির লাইনে কথা বলছেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “এ নিয়ে আমজনতার মতো ওনারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে উনি সমালোচনা করতে ব্যস্ত। রাজ্যের এমন ঘটনা ঘটেওনি, ঘটবেও না। উনি বরং দিল্লি নিয়ে ভাবুন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.