ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধার সমস্যা সমাধানে বড়সড় উদ্যোগ রাজ্যের। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের নতুন পোর্টাল চালু হবে বলে নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, বাতিল হওয়া আধারের পরিবর্তে বিকল্প কার্ড দেবে রাজ্য। যার মাধ্যমে সরকারি যাবতীয় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের আধার কার্ড বাতিল করছে কেন্দ্র। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল রাজ্যজুড়ে। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়িয়েছে বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে আধারের বিকল্প কার্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। দাবি করেন, পরিকল্পনামাফিক বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মূলত মতুয়া সম্প্রদায়ের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে বলে দাবিও করেন তিনি। এর পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে রাজ্যের তরফে বিকল্প কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মমতা।
কীভাবে পাবেন এই বিকল্প কার্ড? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের তরফে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে ওই পোর্টালটি খুলে দেওয়া হবে আমজনতার জন্য। যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁরা সেখানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলে খবর। নির্দিষ্ট সময়ে বিকল্প কার্ড পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর ঠিকানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিকল্প কার্ড আধারের মতোই কাজ করবে। অর্থাৎ যে যে ক্ষেত্রে আধার ব্যবহার করা হত, সেই সমস্ত জায়গায়ই এই বিকল্প কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই কার্ড ব্যবহারে মিলবে সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুবিধাও।
কিন্তু রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের রেশন থেকে শুরু করে ১০০ দিন, আয়ুষ্মান ভারত-সহ যাবতীয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোয় আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। যাদের আধার বাতিল হয়েছে পরবর্তীতে তাঁরা কেন্দ্রের এই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাবেন কি? রাজ্যের দেওয়া বিকল্প কার্ড কি কোনওভাবে কেন্দ্রের প্রকল্পের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে? এহেন একাধিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, আধার জটে অসমে ‘বঞ্চিত’ লক্ষ লক্ষ মানুষ। পাচ্ছেন না বিনামূল্যের রেশনও। এনআরসির প্রথম খসড়ায় নাম না থাকার ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক লক থাকায় অসমের ২৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন মানুষ কেন্দ্রীয় সুবিধা, বিভিন্ন প্রকল্প, চাকরি, শিক্ষা, এমনকি বিনামূল্যের চালের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। আধার বাতিল হওয়ায় বাংলার একাংশের মানুষও কি বঞ্চনার শিকার হবেন? সেই প্রশ্ন থাকছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.