স্টাফ রিপোর্টার: উন্নয়নের স্বার্থে কলকাতা বন্দর এলাকার জমিতে বসে থাকা ঝুপড়িবাসীদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি করে দেবে সরকার। রাজ্য সরকারের নীতি, উচ্ছেদ না করে গরিবের পুনর্বাসন। বন্দর এলাকায়ও সেই নীতি মেনে এগোতে চায় রাজ্য। সে কারণে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পোর্ট ট্রাস্ট চেয়ারম্যানকে চিঠিতে প্রস্তাবের কথা লেখা হয়েছে।
[নতুন বছরে মমতার উপহার, ৫ লক্ষ মানুষকে বাড়ি]
কলকাতা বন্দর এলাকার বিধায়ক তথা পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রস্তাব, বন্দরের গুদামের উপরে লজিস্টিক হাব করা যেতে পারে। এর ফলে এলাকার সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। তাতে সুবিধা হবে লোডিং ও আনলোডিংয়ের, বাড়বে কর্মসংস্থান। পাশাপাশি বন্দর এলাকায় জমিতে প্রচুর ঝুপড়িবাসী রয়েছেন। তাঁদের সরাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সমস্যা হচ্ছে। ঝুপড়িবাসীরা সরলে ওই এলাকা সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারবে পোর্ট ট্রাস্ট। সেগুলি হবে ‘প্রাইম ল্যান্ড’। এতে আয়ও বাড়বে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের।
মঙ্গলবার পাথরখাদান ও বালিখাদানের নিলামের প্রক্রিয়ার বিষয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী প্রথম বৈঠকে বসে। নবান্নের বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। ফিরহাদ হাকিম জানান, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল পাথরখাদান ও বালিখাদানের অকশন করার নির্দেশ দিয়েছে। শ্রমিকদের স্বার্থ দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
[‘বিয়ের কোনও বয়স হয় না’, ৭৪ বছরের বৃদ্ধের স্ত্রীকে স্বীকৃতি হাই কোর্টের]
বীরভূম ও বাঁকুড়ার বেশ কিছু অংশে পাথরখাদানের জমি বেসরকারি মালিকানার অধীনে রয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সমস্যা রয়েছে। বালিখাদান নিয়ে অবশ্য তেমন সমস্যা নেই। এদিন প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় জমিগুলি রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিডিও-কে ওখানকার অবস্থা জানাতে হবে। সেই অবস্থা বুঝে মন্ত্রিগোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নেবে। মহম্মদবাজার, রামপুরহাট, পাঁচামি, নলহাটি ও বাঁকুড়ার কিছু অংশ এর আওতার মধ্যে পড়ে।
[ভোরের মতো পড়ন্ত বিকেলেও মোহময়ী, গজলডোবা যেন স্বপ্নের ঠিকানা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.