ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: শিশুরা অটিজম আক্রান্ত কি না জানতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রায় ৪১ লক্ষ শিশুর উপর সমীক্ষা করা হয়। একটি প্রশ্নপত্র তৈরি রাখা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে শিশুদের মাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। ৫ হাজার ৮৪০ জন সন্দেহের তালিকায় ছিল। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়েছিল। যে সব শিশুর বিভিন্ন উপসর্গ ধরা পড়েছে, তাদের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিধানসভায় বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা উল্লেখ করেন, শিশুদের মধ্যে ১৭৬ জনের অটিজম নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ৪৭৬ জনের ক্ষেত্রে অন্য প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়েছে।
শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী থাকতে চায় না রাজ্য। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির রান্না সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রেই করতে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। এজন্য খরচ হবে প্রায় ২৮৬ কোটি টাকা, যা পুরোটাই রাজ্য নিজেই দেবে। পাশাপাশি অনবরত নজরদারিতে অপুষ্টির পরিমাণও কমেছে, বর্তমানে এর হার ৩.১ শতাংশ। শিশুস্বাস্থ্যে আপোষ করবে না রাজ্য। তাই এজেন্সি নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেই খাবারের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী কেন্দ্রের অসহযোগিতার কথাও বলেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩-২৪ সালে ১ হাজার ৮৬০ কোটি চাওয়া হলেও ১ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ছেড়েছে মাত্র ৯৪৮ কোটি টাকা। রাজ্য জটিলতার মধ্যেও কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন শশী পাঁজা।
তিনি জানান, মোট ৮১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রের জন্য ২৮৬ কোটি টাকা খরচ হবে এলপিজি সংযোগে। এই খরচের মধ্যে সিলিন্ডার ছাড়াও ওভেন, অগ্নি নিরোধক যন্ত্রও রয়েছে। ম্যাপিং করে প্রতি জেলাকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী। বিজেপির অশোক লাহিড়ী কটাক্ষ করেন, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচি না নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী চালাচ্ছে রাজ্য, তাহলে আইসিডিএসও নিজেরাই করুন না! শশী পালটা আক্রমণ করে বলেন, “অসাংবিধানিক কথা বলছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.