কোভিডের আগ্রাসন রুখতে রাজ্যে ফের তৎপরতা তুঙ্গে
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সাড়ে তিন বছর পর ফের চোখ দেখাচ্ছে করোনা। কেরলে সংক্রমণের খবর ও কেন্দ্রের হুঁশিয়ারি-চিঠি পাওয়ার পরেই কোমর বেঁধেছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যদপ্তর। কোভিডের আগ্রাসন রুখতে রাজ্যে ফের তৎপরতা তুঙ্গে ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সোমবার দেশে করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক হয়েছে। কোভিড-যুদ্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করলেও রাজ্যের তরফে এখনও তেমন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে এখনও নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তেরও সন্ধান মেলেনি। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এদিন জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে বুধবার আলোচনা করবে সব রাজ্য। এদিন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসওপি তৈরি রয়েছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে।”
স্বাস্থ্যভবনের দাবি, এদিন পর্যন্ত রাজ্যে কোনও কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। তবে বেলেঘাটা আইডি এবং এমআর বাঙুরের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত। কোভিড চিকিৎসায় দুই হাসপাতালে যথাক্রমে ৩৩ ও ৩০টি শয্যা বরাদ্দ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে দুটি হাসপাতালেই মক ড্রিল হয়েছে। সিসিইউ, আইসিইউ শয্যা, মেডিক্যাল অক্সিজেন পাইপ লাইন পরীক্ষা সম্পূর্ণ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য মোতাবেক, গত এক মাসে কেরলে দশজন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার এসওপি জারি না করলেও কোভিডবিধি মেনে চলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, “করোনা ভাইরাস পরিবেশে থাকবেই। তবে ক্রমশ তার ভয়াবহতা কমবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ দেখা দেবে। বয়স্ক ও কোমর্বিডিটি থাকলে সুরক্ষা নিতে হবে।’’ স্বাস্থ্যদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের অভিমত, শীতে উৎসবের মরশুমে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.