ফাইল ছবি।
নব্যেন্দু হাজরা: ফ্র্যাঞ্চইজিতে যারাই বাস চালাক তাঁদের সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে। নচেৎ অভিযোগ পেলে সেই বাস সিজ করা হবে। সোমবার পরিবহণ ভবনে বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে সেকথা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। মালিকদের সঙ্গে যে চুক্তি হবে সেখানে সেকথা লেখা থাকবে।
সরকারি বাস ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কারা চালাবে তা নিয়ে দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় বাস মালিকদের। সেখানে জনা ২৫ মালিক ছিলেন। তাঁরা তাঁদের শর্তের কথা জানান। সরকারও তাঁদের নিয়ম-নীতি স্মরণ করিয়ে দেয়। বাসমালিকদের দাবি, সরকার জানিয়েছে, বাস নেওয়ার সময় তিন লক্ষ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। তাছাড়া ভাড়া বাড়ানো যাবে না। কিন্তু ২০১৮ সালের ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। আর একটি জটিলতা রয়েছে চালক নিয়ে। বাসমালিকরা জানাচ্ছেন, এই বাসগুলো তাঁরা তাঁদের চালক দিয়েই চালাতে চান। চালক-কন্ডাক্টর-গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সবই যেন থাকে তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা মাসে মাসে বাসপিছু আট হাজার টাকা করে সরকারকে দেবে।
কিন্তু পরিবহণ দপ্তর বলছে, এই বাস বেসরকারি মালিকদের নিয়ন্ত্রণে গেলেও চালক পরিবহণ নিগম থেকেই নিতে হবে। এবিষয়ে এখনও সহমতে পৌঁছোয়নি দপ্তর এবং বাসমালিকরা। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘সরকার বলেছে, পুরনো ভাড়াতেই বাস নামাতে হবে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। তাই আমরা সরকারকে ফের চিঠি দেব ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে। তাছাড়া বাস নেওয়ার সময় তিন লক্ষ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে বলেছে। ওদের ডিপোতে গাড়ি রাখতে হবে। সব শর্ত আমরাও ভেবে দেখছি মানা কতটা সম্ভব।’’
সূত্রের খবর, আপাতত শহরে আট’টা রুট ঠিক হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বাস চালানো জন্য। তাছাড়া কিছু আছে দূরপাল্লার রুট। তবে এই বাস নামানো নিয়ে বাসমালিক সংগঠনগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সংগঠনগত এই বাস নামানোর বিষয়ে কোনও সদস্যকে বলছি না। কারণ আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে বাস নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মালিকরা।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.