রাহুল রায়: রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই কর্মচারীদের। পুজোর অনুদান মামলার হলফনামায় এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার (WB Govt.)। অনুদান সংক্রান্ত মামলাটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে দাবি করে তা খারিজেরও দাবি জানিয়েছে রাজ্য। একইসঙ্গে মামলাকারীর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করার আরজিও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
চলতি বছর দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022) কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়। এদিন সেই মামলায় হলফনামা জমা করল রাজ্য।
হলফনামায় রাজ্য জানিয়েছে
- রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA) বকেয়া নেই। সেই জন্যই আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। তাই আদালতের নির্দেশের পরে রাজ্য তার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন, এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয়।
- কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পুজোর অনুদান দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দু’টিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না।
- রাজ্য সরকার পুজা কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না।
- মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। অবিলম্বে বিপুল আর্থিক জরিমানা করে মামলা খারিজ করা উচিত।
- এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।
- পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই ‘পুলিশ’ অনুশীর্ষে (Sub Head) অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।
- সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই।
- ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।
- সংবিধানের ৫১(ক) ধারা অনুযায়ী, হেরিটেজ রক্ষা করার দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে।
- দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না।