সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চম, অষ্টম শ্রেণিতে পাস-ফেল প্রথা ফেরাতে বিল অনুমোদন লোকসভায়৷ কিন্তু, রাজ্যে এখনও ফেরানো যায়নি পাশ-ফেল প্রথা৷ অবিলম্বে রাজ্যে পাশ-ফেল ফেরানোর দাবিতে রাজভবন অভিযানে নামল এসইউসিআই৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা রাজভবনের গেট অবরুদ্ধ করে রাখেন হাজার দু’য়েক এসইউসিআই৷ পুলিশ পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷ পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এসইউসিআইয়ের কর্মীরা৷ পরে বিশাল পুলিশ পৌঁছে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে৷
এদিন দুপুরে রাজভবন চত্বরে এসইউসিআই কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ এসইউসিআইর আন্দোনল প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাশ-ফেল ফেরাতে আলোচনা করছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই পাশ-ফেল চালু হয়ে যাবে৷’’ রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে রাজ্য৷ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর বিষয়ে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাশ হল লোকসভায়৷ শিশুর বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার বিল (সংশোধনী), ২০১৭ এদিন পাশ হয় লোকসভায়। বিলটিকে লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷
এই নিয়ে সংসদে এই বিল সংশোধনের জন্য দ্বিতীয়বার পেশ হয়। গত বছরও সংসদে এই বিল সংশোধনের জন্য পেশ করা হয়েছিল। পরে সংশোধনী বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল পর্যবেক্ষণের জন্য। এই বিলটি সংশোধনের পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য হল, পাশ-ফেল ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা। যাতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা যায়। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “এই বিলটি সংশোধন করে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর কথা অনেক দিন ধরেই ভাবা হচ্ছিল। তার জন্য দু’টি কমিটিও গঠন করা হয়। তারা রিপোর্টও পেশ করেছে। প্রত্যেকটি রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। বেশির ভাগই চায় পাশ-ফেল প্রথা আবার চালু করা হোক। তবে কয়েকটি রাজ্য বিপক্ষে কথা বলেছে। সুতরাং এই বিষয়টি রাজ্যগুলির উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে রাজ্য চাইবে, পাশ-ফেল প্রথা চালু করতে পারবে। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিও রাজ্য সরকারের হাতেই রয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা রয়েছে এবং তারা তাদের পছন্দ মতো নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.