সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে সভা করতে পারবে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাল রাজ্য। ইতিমধ্যেই মামলার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
ধর্মতলায় বিজেপির (BJP) বঞ্চনা সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আগামী ২৯ নভেম্বর সভার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। গত সোমবার সেই মামলার শুনানিতই পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বলে দেন, সকলের প্রতি সমান মনোভাব দেখানোর চেষ্টা করুক পুলিশ। শুনানির সময় পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আমি অবাক হচ্ছি আপনাদের আপত্তি জানানো দুটি চিঠির বয়ান দেখে। এটা তো স্বাধীন রাষ্ট্র। এখানে তো সবার এমন সভা করার অধিকার আছে।” এর পরই নির্দেশ দেন, ২৯ তারিখই সভা করা যাবে। আজ, বুধবার শুশানিতে এই সভা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল রাজ্য।
ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভা প্রথমে ২৮ নভেম্বর করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ দিনের আগে না আবেদন করার যুক্তিতে পুলিশ আপত্তি তোলে। পরে ২৯ নভেম্বর সভা করতে চেয়ে নতুন করে আবেদন করা হয়। তবে কোনও কারণ না দেখিয়ে সেই আবেদনও বাতিল করে পুলিশ। দ্বিতীয় বাতিলপত্রে বয়ান একইরকম। তাতেই বিচারপতি মান্থার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।
এবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের তোপ, রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা। তৃণমূল বারবারই বিরোধীদের এভাবেই আটকানোর চেষ্টা করে। পালটা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। আইনের ঊর্ধ্বে কিছু করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.