দীপঙ্কর মণ্ডল: মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রশাসক বসাল রাজ্য সরকার৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া যে আসনগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে সেই সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি ও জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন না করে প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই খবর জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিনই রাজ্যের একটা বড় সংখ্যক পঞ্চায়েত, সমিতি ও জেলা পরিষদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, “উন্নয়নের কাজ থমকে থাকতে পারে না। মামলার কারণে বোর্ড গঠন হবে না এমন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে প্রশাসক বসানো হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই উন্নয়নের কাজগুলিকে রাজ্য সরকারের নজরদারিতে চালিয়ে যাওয়া।” এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।
[ফের সৌজন্যের নজির, প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী]
এ বারের নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯২১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে ৩০৫৯টি আসনে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসনের মধ্যে ১৬ হাজার ৮১৪টিতে বিনা লড়াইয়ে জিতেছে শাসকদল। জেলা পরিষদের মোট ৮২৫টির মধ্যে ২০৩টি আসনে কোনও লড়াই হয়নি। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধী দলগুলি মামলা করেছিল। কয়েকটি জনস্বার্থ মামলাও হয় কলকাতা হাই কোর্টে। যা শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। জেলা পরিষদ, বহু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামপঞ্চায়েতের মামলা শীর্ষ আদালতে ঝুলে। প্রতিটি আসনে ভোট হওয়া গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও প্রায় শেষ৷ আইনগতভাবে যে সমস্ত পঞ্চায়েতে অল্প সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এসেছেন, তাঁদের বাইরে রেখে নির্বাচনে জয়ীদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা যায়। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী, সেখানে বোর্ড গঠন করা অসম্ভব। রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে শাসক দল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। মামলার কারণে এই আসনগুলিতে বোর্ড গঠন সম্ভব নয়। এই কারণে পঞ্চায়েত দপ্তর প্রশাসক নিয়োগ করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.