গোবিন্দ রায়: ঝালদা পুরসভা নিয়ে এখনও জটিলতা অব্যাহত। কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দুকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রাজ্য সরকারের।
গত ১৬ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান পদে বসেছিলেন নির্দলের হয়ে জেতা কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এই প্রথম কোনও মহিলা ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান নির্বাচিত হন। ওইদিন কংগ্রেসের (Congress) ৬ এবং নির্দলের এক কাউন্সিলর-সহ ৭টি ভোটে তিনি পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরদিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি তিনি প্রথম কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন কাটতে না কাটতেই ফের জটিলতা দেখা দেয়।
গত ১৯ জানুয়ারি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন ঝালদার মহকুমা শাসক ঋতম ঝা। আর তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সুদীপ কর্মকারকে নয়া পুরপ্রধান হিসাবে ঘোষণা করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। দায়িত্ব নেওয়ার দু’দিনের মধ্যে এহেন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে বাকরুদ্ধ হয়ে যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “বারবার হেরে যাওয়া সত্ত্বেও কেন সেই দলের প্রতিনিধিকেই বসানো হচ্ছে? প্রশাসনের এত তাড়া কীসের?”
সওয়াল জবাব চলার পর আদালত শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.