Advertisement
Advertisement

Breaking News

সঞ্জয় ও বিশ্বজিতের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

যানজট এড়াতে শহরে নতুন ২ উড়ালপুল।

WB Govt announces compensation to Chingrighata accident victims’ families
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 3, 2018 7:42 pm
  • Updated:February 3, 2018 7:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিংড়িঘাটার পথদুর্ঘটনায় মৃত দুই কলেজ ছাত্রের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য। সাহায্যের পরিমাণ দু’লক্ষ টাকা। সরকারি তরফে বিশ্বজিৎ ও সঞ্জয়ের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। মৃতের পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে যানজট এড়াতে শহরে নতুন দুটি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। একটি উড়ালপুল হবে উল্টোডাঙা থেকে মানিকতলা পর্যন্ত। অন্যটি গোপালনগর থেকে হাজরা পর্যন্ত। কেএমডি-র তত্ত্বাবধানে খুব শিগগির শুরু হবে উড়ালপুল তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই নয়া উড়ালপুল সংক্রান্ত সমীক্ষা শুরু করেছে রাইটস। দু’বছরের মধ্যেই উড়ালপুলের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

[রাতের শহরে মদ্যপ জুটির ‘জয়রাইড’, এক দুর্ঘটনাতেই আহত ৮]

চিংড়িঘাটার বাইপাস কানেক্টরে সরকারি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ ও সঞ্জয়ের। দু’জনেই প্রথম বর্ষের ছাত্র। দুর্ঘটনাস্থল লাগোয়া রবীন্দ্রনগর এলাকাতে পাশাপাশি বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। ছেলেবেলা থেকে একই স্কুলে পড়ার সুবাদে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তারপর একই কলেজে পড়াশোনা শুরু। শনিবার সকালে দু’জনে রাস্তা পেরিয়ে মিষ্টি কিনতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সাইকেল ছিল। সিগন্যাল লাল থাকায় সাইকেল নিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন তাঁরা। সেইসময়ই একটি সরকারি বাস তাঁদের ধাক্কা মারে। ধাক্কায় সাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন দু’জনে। পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে যান। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই ঘাতক বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। পরের পর আগুন লেগে যায় বেশ কয়েকটি বাসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ। পাড়ার দুই ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্বজিৎ ও সঞ্জয়ের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। সেই সময়েই মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই বিকেলে নবান্ন থেকে সাহায্যের ঘোষণা হয়েছে। প্রায়

Advertisement

[আর কত মরলে মানুষ বাস তুমি থামবে?]

বিকেলে দুর্ঘটনাস্থল লাগোয়া বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড এলাকা ও চিংড়িঘাটায় পর্যবেক্ষণ করেছে পুলিশ। ঠিক কোন জায়গায় বাস দাঁড়ালে নিত্যযাত্রী ও পথাচারীর বিপদে পড়বেন না, তা নির্দিষ্ট করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে যানজট এড়াতে উড়াল পুলের নতুন দুটি উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে শহরে। গতরাত থেকেই একের পর এক পথদুর্ঘটনা ঘটছে শহরে। রাতে পাটুলি এলাকায় দুটি বাইকের সঙ্গে মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইক দুটিতে চারজন ছিলেন। দুই বাইক আরোহীই মদ্যপ ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মারুতিতে চারজন প্রবীণ নাগরিক ছিলেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজনই আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

[মিষ্টি কিনতে গিয়ে বাসের নিচে, ২ যুবকের মৃত্যুতে ফুঁসছে রবীন্দ্রনগর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement