ছবি: ব্রতীন কুণ্ডু
দীপালি সেন: রাজ্যে গ্রীষ্মের ছুটি শেষে সবেমাত্র খুলেছে স্কুল। প্রায় মাসখানেক পর স্কুলমুখী পড়ুয়ারা। তবে আবারও তীব্র গরমে দক্ষিণবঙ্গে হাসফাঁস দশা। তার সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে নাজেহাল পরিস্থিতি আট থেকে আশি সকলের। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের সময় বদলের পরামর্শ দিল রাজ্য। বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে এই পরামর্শ জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজ্যের সরকারি যে কোনও প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সময় বদলানো যাবে। প্রয়োজনে বেলার পরিবর্তে সকালের দিকে ক্লাস করানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে। তবে পঠনপাঠনে যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। মিড ডে মিল পরিষেবাও যাতে ব্যাহত না হয়, সে খেয়ালও রাখতে হবে। বলে রাখা ভালো, স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার তেমন নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষদের দাবি, কোনও স্কুলে ৪০, কোথাও ৩০ আবার কোথাও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ২০-২৫ শতাংশ। অনুপস্থিতির হার খতিয়ে দেখে স্কুলের সময় বদলের পরামর্শ রাজ্য সরকারের।
ভোগান্তি আপাতত বজায় থাকবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গে তড়িঘড়ি বর্ষা ঢুকে পড়লেও আপাতত তা থমকে। ৩১ শে মে থেকে একই জায়গায় মৌসুমী অক্ষরেখা। এই সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণে মৌসুমী বায়ু আসার সম্ভাবনা নেই বলেই জানালো হাওয়া অফিস। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। জানা গিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায়।
এই তিন জেলার কিছু অংশে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলিতে। বৃহস্পতিবার সকালেও বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে। দুপুরের পর থেকে বদলাবে আবহাওয়া। তবে বেশ কয়েক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.