সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে X হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকাল। X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল ও নবান্নে সম্পর্কের অবনতিতে দায়ী একমাত্র শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সংবাদসংস্থা পিটিআই ওই পোস্টটি উদ্ধৃত করে। পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়। বিকেলে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ ওঠে। X হ্যান্ডেলে করা ওই পোস্ট রাজভবনের তরফে ডিলিট করা হয়েছে বলেই দাবি করেন খোদ ব্রাত্য বসু। তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যে ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করে রাজভবন। নবান্নে এই মর্মে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়।
রাজ্যপালের এই সুপারিশকে হাস্যকর বলে দাবি করেন ব্রাত্য। X হ্যান্ডেলে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 4, 2024
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। তবে প্রথম দিকে বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক বেশ মধুর ছিল। যদিও সময় যত গড়ায়, সম্পর্ক ততই খারাপ হতে থাকে। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য অপসারণ নিয়ে সংঘাত সামনে আসে। বুধবার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। নিয়ম বহির্ভূতভাবে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে যে উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ রেখেছেন তাঁদের সতর্ক করা হয়। আর তার পরদিনই রাজ্যপালের এই সুপারিশ। যা নিয়ে হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটের মুখে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.