রাহুল চক্রবর্তী: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী বিধানসভা। সামনে দাঁড়িয়েও ভিতরে ঢুকতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিল বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় যান তিনি। তবে তিন নম্বর দরজা তালাবন্ধ থাকায় ওই দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারলেন না ধনকড়। অনুমতি নেই বলেই দরজা খোলা যায়নি বলেই দাবি রাজ্যপালের। গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না বলেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জগদীপ ধনকড়।
বিল বিতর্কের মাঝেই বিধানসভায় আসবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও স্পিকার তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলেন অধিবেশন স্থগিত থাকায় হয়তো তিনি থাকবেন না। তা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্যপাল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিধানসভার সামনে পৌঁছন রাজ্যপাল। দুই এবং চার নম্বর গেট খোলা ছিল বিধানসভার। তবে তা সত্ত্বেও তালাবন্ধ ৩ নম্বর দরজা দিয়ে বিধানসভায় ঢোকার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করলেও তালা খোলা হয়নি। এ প্রসঙ্গে যদিও মার্শালের দাবি, অনুমতি না মেলায় তিনি দরজা খুলতে পারবেন না।
বিধানসভায় ঢুকতে বাধা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “লাইব্রেরি ঘুরে দেখতে আসব বলেছিলাম। সস্ত্রীক আমাকে আমন্ত্রণ জানান অধ্যক্ষ। স্পিকার আমাকে স্বাগত জানাবেন বলেছিলেন। এক ঘণ্টার মধ্যে মত বদলালেন অধ্যক্ষ। ফোনে জানানো হল না আসার কথা। আমি এসেছি। প্রোটোকল মেনে ৩ নম্বর দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছি। তাও কেন বন্ধ বিধানসভার দরজা? অধিবেশন স্থগিত মানেই বিধানসভা বন্ধ নয়। গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না।” গোটা ঘটনাকে লজ্জাজনক বলেও সুর চড়ান ধনকড়। এরপর বিধানসভার ২ নম্বর দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঘুরে দেখেন গোটা বিধানসভা।
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ‘অপমানিত’ হয়েছেন রাজ্যপাল। অভ্যর্থনা তো দূর পাননি বসার চেয়ারও। সেই ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের চিড় আরও বেড়েছে। তার পরেরদিনেও বিধানসভা সফর নিয়ে আবারও সংঘাতে জড়াল রাজ্য এবং রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের তিক্ত সম্পর্কে নয়া অধ্যায়ে যুক্ত হল নজিরবিহীন বিধানসভা ইস্যু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.