সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরএস কাণ্ডে এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আরজি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, অবিলম্বে অচলাবস্থা কাটিয়ে কাজে ফিরুন। গোটা রাজ্যের চিকিৎসকদের কাছেই তাঁর আবেদন, দ্রুত কাজে ফিরে উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়া শুরু করুন। সেইসঙ্গে তিনি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেছেন, তাঁদের দাবিদাওয়া রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবং দ্রুত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গত ১০ জুনের ঘটনায় যারা দোষী, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১০ জুনের ঘটনার পর প্রায় তিনদিন অতিক্রান্ত। এখনও রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রে অচলাবস্থা জারি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসেন। জানিয়ে দেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে না ফিরলে তাদের উপর ‘এসমা’ জারি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতে কার্যত হিতে-বিপরীত হয়। কাজে নি ফিরে আরও তীব্রতর আন্দোলনের পথ ধরেন চিকিৎসকরা। তাদের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে আসেন। এরপর রাজ্যের চার বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তারপরই, চলতি অচলাবস্থা কাটাতে আবেদন করেন তিনি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আন্দোলন তুলে নেওয়ার আরজি জানান। এবং জানিয়ে দেন ডাক্তারদের দাবি রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনার পরই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্য সর্বদল বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের চার বৃহত্তম দলের প্রতিনিধিদের। রাজভবনে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের তরফে ছিলেন মহম্মদ সেলিম, বিজেপির তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং কংগ্রেসের সোমেন মিত্র। এদিন সব দলগুলির উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের বার্তা, “রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করুন। কোনওপ্রকার প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলবেন না।” সেইসঙ্গে তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধিকে জানিয়ে দেন, “আমার মনে হয় আরও আগে রাজ্যের সর্বদল ডাকা উচিত ছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.