ফাইল চিত্র
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জগদীপ ধনকড় জমানার বিপরীত ছবি। সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব ঘুচেছে। বুধবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণেও মিলল তার প্রমাণ। রাজ্যপালের ভাষণে বারবার শোনা গেল ‘আমার সরকার’, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’র মতো শব্দবন্ধ। এছাড়া রাজ্যপালের ভাষণে অনেকটাই অনুপস্থিত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরোধের সুরও।
রাজ্যপালের ভাষণে রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করা হয়। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ব্যর্থতার কথাও রাজ্যপালের ভাষণে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ব্যর্থতার দায় রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের ঘাড়েই ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। তবে রাজ্যপালের ভাষণে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার দ্রুত টাকা পাঠাবে। আর তারপরই রাজ্য ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে শীর্ষস্থান দখল করবে।
আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের ভাষণে কেন সুর নরম করল রাজ্য সরকার, তা নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। আবার রাজ্যপালের ভাষণে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে ‘আমার সরকার’, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’র মতো শব্দবন্ধ। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রসঙ্গে রাজ্যপালের ভাষণের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছে। আবার স্বাস্থ্যক্ষেত্র, কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির কথা বলতে গিয়েও ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
জগদীপ ধনকড় জমানার বৈরিতা ঘুচে রাজ্যপালের ভাষণে ‘আমার সরকার’, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’র মতো শব্দবন্ধ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার শেষ নেই। বিজেপির দাবি, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পাঠ করেছেন। তাই তার জন্য কোনওভাবে রাজ্যপালকে দোষারোপ করা যায় না। সিপিএম নেতৃত্বও টিপ্পনি করতে ছাড়েনি। বামনেতাদের মতে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা’র মতো শব্দবন্ধ যে রাজ্যপালের ভাষণে শোনা যায়নি, সেটাই যথেষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.