ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। তারই মাঝে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আগামী ১৭ জানুয়ারি দুপুর দু’টো নাগাদ রাজভবনে বৈঠকে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। সোমবার একটি টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানান তিনি। এসসি-এসটি এবং গণপিটুনি সংক্রান্ত দু’টি বিল সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে এই বৈঠক বলে টুইট করেন ধনকড়।
টুইটে তিনি লিখেছেন, “আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজভবনে দুপুর ২টোয় বিধানসভার সব দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিশন এসসি-এসটি বিল নিয়ে জানার জন্য এই বৈঠক। একদিকে বিল দু’টি নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, বিধানসভা ও রাজ্য সরকারের তরফে অসমর্থনযোগ্য তথ্য জনসমক্ষে দেওয়া হচ্ছে। তাই বৈঠকে ডাকা হল বিধায়কদের।”
.@MamataOfficial. I have invited leaders of the Legislature Parties in the Legislative Assembly on 17.1.2020 at 12 noon at Raj Bhavan, Kolkata as regards pendency of West Bengal (Prevention of Lynching) Bill, 2019 and West Bengal State Commission for SC and ST Bill, 2019. pic.twitter.com/Hn95UhlsZ4
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 13, 2020
আমন্ত্রণ পাওয়ামাত্রই বাম এবং কংগ্রেস নেতারা যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাতেই বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেছেন, “গণপিটুনি বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। দেখা যাক বৈঠকে কী হয়।” রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যপাল তো টুইট করেই যাচ্ছেন। উনি টুইট করুন, আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যপালকে খেয়াল রাখতে হবে, সব বিষয়ে মানুষের বিরক্তির কারণ যেন না হন উনি। রাজ্যপালের নিশ্চয়ই তথ্য পাওয়া উচিত। তথ্য না পেলে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্য সরকার যে তথ্য রাখে না, সেটা রাজ্যের মানুষই জানে। কিন্তু তথ্য পাওয়ার জন্য সর্বদলীয় সভা ডাকা শুনিনি। ১৭ তারিখ কলকাতায় থাকব না।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বৈঠক ডাকার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বৈঠক ডাকাটা ওঁর দায়িত্ব। বাংলায় যা বিশৃঙ্খলা হচ্ছে তাতে মানুষের কাছে সঠিক তথ্য যাওয়া উচিত। কে সহযোগিতা করবে আর কে করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার।” তবে তৃণমূলের তরফে এখনও এই বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সোমবারই রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও আমন্ত্রণে সাড়া দেননি কেউই। কী কারণে রাজ্যপালে ডাকে সাড়া দিলেন না, সে বিষয়েও মুখে কুলুপ উপাচার্যদের। রাজনৈতিক মহলে যদিও এই নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আচার্যের ক্ষমতা খর্বের বিধি লাগু হওয়ার পর থেকে শিক্ষাদপ্তরের তরফে সমস্ত উপাচার্যদের রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিতে বারণ করা হয়েছে। তাই হয়তো এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন উপাচার্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.