সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া ডিএ (DA) চেয়ে সরকারি কর্মচারীদের অনশন নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসার ডাক দিলেন তিনি। সবপক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ সি ভি আনন্দ বোসের। পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের মতোই টুইট করে নিজের মত জানালেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন টুইট ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে।
গত চার সপ্তাহ ধরে রাস্তায় বসে রিলে অনশন করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের দাবি একটাই, বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। এই দাবিতে ধর্মঘটও করেছে তারা। পালটা রাজ্য়ের দাবি, কেন্দ্র রাজ্যের বকেয়া মেটাচ্ছে না। এমনবস্থায় বকেয়া ডিএ মেটানো সম্ভব নয়। তবু নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরতে রাজি নন সরকারি কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতি আলোচনায় বসে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল।
শনিবার দু’টি টুইট করেন নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে রাজ্যপাল লেখেন, “সরকারি কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে পড়ছে, যা দেখে রাজ্য়পাল মর্মাহত। বিষয়টা হয়তো খুবই জটিল, কিন্তু সবসময় তার একটা সহজ সমাধান থাকে। আমাদের ভাইদের জীবনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কী হতে পারে!”
1/
Governor is deeply pained that the hunger strike of the aggrieved employees is entering its fourth week. The issues involved may be complex but there is always a simple way out. What is of paramount importance is the precious life of our brothers
Cont’d
— Governor of West Bengal (@BengalGovernor) March 11, 2023
দ্বিতীয় টুইটে সি ভি আনন্দ বোস আরও লেখেন, “আন্দোলনকারী ভাইদের কাছে ভীষণই আবেগের বিষয় নিয়ে তাঁরা লড়াই করছে।” তবে আন্দোলনকারীদের অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছেন তিনি। অনশনকারী ও রাজ্য় সরকারকে আলোচনায় বসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
2/
who are on a continuous fast for a cause which is close to their heart.
Governor entreats all those who are on the perilous fast to kindly end it and request all stakeholders to sit together and find an acceptable way out of the imbroglio.— Governor of West Bengal (@BengalGovernor) March 11, 2023
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি জানিয়ে ১০ মার্চ বন্ধ ডেকেছিল যৌথমঞ্চ। সেদিন প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে গরহাজির ছিলেন। অথচ ওইদিন বিশেষ কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে সার্ভিস ব্রেকের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল নবান্ন। তারপরেও কেন এত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা গরহাজির ছিলেন, তা জানতে চেয়েছে শিক্ষাদপ্তর। পাশাপাশি ‘নিয়মভঙ্গকারী’ শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.