Advertisement
Advertisement

Breaking News

সংবিধান দিবস

রাজভবন ও বিধানসভায় সংবিধান দিবস পালন, পৃথক অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

রাজভবনের অনুষ্ঠানের কথা নজরে আসেনি, আমন্ত্রণ পেয়েও মন্তব্য স্পিকারের।

WB governor and CM arrange two programme in constitution day
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 26, 2019 4:28 pm
  • Updated:November 26, 2019 4:31 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংবিধান দিবসে রাজ্যে আয়োজন করা হল দু’টি অনুষ্ঠানের। একটির পৌরহিত্য করবেন রাজ্যপাল আর অপরটির মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধান দিবসে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন। আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও পৃথক দু’টি অনুষ্ঠান যে হচ্ছে তা বুঝতেই পারছেন না বিমানবাবু, জবাব দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন স্পিকার।  

মঙ্গলবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজ্য বিধানসভায় বসেছে বিশেষ অধিবেশন। দু’দিন ধরে চলবে অধিবেশন। সন্ধেয় রাজভবনে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিকে আবার রাজ্য বিধানসভার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি থাকার কথা রাজ্যপালের। এছাড়াও বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মীরা কুমার, প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।একইভাবে রাজভবনে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভাতেও আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী। 

সংবিধান দিবসের এই দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। কেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী আলাদা দু’টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন, ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন। মঙ্গলবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রশ্নও করেন। কৌশলে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্পিকার বলেন, “আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ঠিকই। তবে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠান যে হচ্ছে তা জানতাম না।” আমন্ত্রণ সত্ত্বেও কীভাবে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বুঝতেই পারলেন না স্পিকার, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার ছুটি চাইতে হবে অনলাইনে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের নয়া নির্দেশ নবান্নর]

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধ লেগেই রয়েছে রাজ্য-রাজভবনের। আচমকা শিলিগুড়িতে জেলা প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের সূত্রপাত। সময় যত কেটেছে সেই তালিকা তত লম্বা হয়েছে। ওই তালিকায় যুক্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার, রাজ্যপালের আচমকা সিঙ্গুর সফর, মুর্শিদাবাদ যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার না পাওয়া-সহ একাধিক ঘটনা। নবান্ন-রাজভবন দ্বৈরথের ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি হল সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement