রাহুল চক্রবর্তী: কেন্দ্র সরকার লোকসভা ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিল। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করল রাজ্যও। সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্গতরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। তবে, যারা ইতিমধ্যেই এই সংরক্ষণের আওতায় আছেন, তাঁরা নতুনভাবে সংরক্ষণ পাবেন না।
ইতিমধ্যেই স্ববর্ণদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যাদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার নিচে, তারা এই সংরক্ষণের আওতায় আসেন। লোকসভার আগে কেন্দ্রের এই ঘোষণা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল তা বলাই বাহুল্য। সেসময়ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন মমতা। এবার নিজের রাজ্যেও সেই সংরক্ষণ পদ্ধতি চালু করলেন তিনি। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে, ঠিক কারা এই সংরক্ষণের আওতায় আসবে, বা সংরক্ষণ পেতে গেল কী কী করতে হবে, সেসব স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আপাতত শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং মন্ত্রিসভাও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে। এ বিষয়ে যেদিন চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা করা হবে সেদিন শর্তগুলি জানানো হবে। “
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এই সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছেন পরিষদীয মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “এখন থেকে রাজ্যের সরকারি চাকরিক্ষেত্রে এবং সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভরতির ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্গতির ভিত্তিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে।” তবে, শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা যাঁরা ইতিমধ্যেই সংরক্ষণের আওতায় রয়েছেন, অর্থাৎ তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর জাতির নাগরিকরা এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন না। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর বিধানসভার এদিনই প্রথম কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১এবিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁর এই সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.