বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দৃপ্তকণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার রেসকোর্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বকে সম্মান জানান তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাকেও শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে দৃপ্তকণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন মমতা। যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ।
২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল বাংলাদেশ হাই কোর্ট। যদিও হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে খারিজ হয়েছে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার সেই ঐতিহাসিক রায়। সোজা ভাষায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। কার্যত বঙ্গবন্ধু মুজিবকে মুছে ফেলতে তৎপর ইউনুস। কারণ জয় বাংলা সাধারণ স্লোগান নয়, বরং বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যোদ্ধাদের সাহসিকতার স্মারকও। এপার বঙ্গে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কার্যত সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। যখন আমি ক্লাস টু-থ্রিতে পড়ি, তখন তিনি মারা যান। কিন্তু প্রতিদিন তিনি আমায় বলতেন, কীভাবে ১৯৬৫-তে ইন্দো-চিন যুদ্ধে আমাদের সেনারা কাজ করেছিলেন। তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। একইভাবে শুনতাম ‘৭১-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা।” লতা মঙ্গেশকরের গানের স্মৃতিচারণ করে মমতা বলেন, “মনে পড়ে যাচ্ছে সেই পরিচিত গান। ‘জো শহিদ হুয়ে হ্যায় উনকি জারা ইয়াদ করো কুরবনি’। আজ লতাজি নেই কিন্তু আমাদের শহিদ জওয়ানদের জন্য গাওয়া তাঁর এই গান চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।” বক্তব্যের শেষেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.