সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমাকে পাঁচ-ছ’মাস কাজ করতে দেয়নি। ইর্মাজেন্সি পরিস্থিতি তৈরি করে ভোট করিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে আর কাজ করতে চাই না।’ ভোট বিপর্যয়ের পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে জয়ের লক্ষ্যমাত্র বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উলটে গেরুয়া ঝড়ে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী, দক্ষিণবঙ্গেও বেশ কয়েকটি জেতা আসন হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদলের। লোকসভা ভোটে কেন এমন বিপর্যয়? কালীঘাটের বাড়িতে দলের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী জরুরি বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি দলের প্রত্যেকের কাছে পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। কিন্তু ওরা চায় আমি থাকি। সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে ভোটে জিতেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন প্রতিনিয়ত ওদের হয়ে কাজ করেছে। আমাদের আসন সংখ্যা কমলেও ভোটের হার চার শতাংশ বেড়েছে।”
লোকসভা ভোটের মুখে খোদ পুলিশ কমিশনার-সহ রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষ পদাধিকারীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গ তুলে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ভোটে বিজেপি যা টাকা খরচ করেছে, তা যেকোনও কেলেঙ্কারিকে হার মানাবে। টাকা ঢোকানোর জন্যই বারবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদল করেছে, প্রশাসন কমিশন সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করেছে, কমিশন কিছুই বলেনি। আমাদের কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন পদক্ষেপ করেনি।’ স্রেফ কমিশনের ভূমিকা নিয়েই নয়, এদিন ফের বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘এ রাজ্যে কোনও আসনেই এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে জেতেনি বিজেপি। ইভিএম প্রোগামিং করা ছিল, সবই সেটিং করা ছিল।’ আগামী ৩১ মে ফের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি ফের বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
West Bengal CM Mamata Banerjee: The central forces worked against us. An emergency situation was created. Hindu-Muslim division was done and votes were divided. We complained to the EC but nothing was looked into. pic.twitter.com/FSksMoXsBq
— ANI (@ANI) May 25, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.