সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ‘ভুয়ো দাবি’ উড়িয়ে কেন্দ্রের ‘ভূমি সম্মান’ পেয়ে গর্বিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্য সরকার সরকারি নথিপত্র সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয়। সকলকে শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
বাংলার ১১টি জেলাকে ‘ভূমি সম্মান’ দিয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। জেলায় জেলায় ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ যেমন – জমির নথিভুক্তিকরণ, ভূমি কর সম্পর্কিত মানচিত্র, জমির রেকর্ড ইত্যাদি, ডিজিটালাইজেশনে যেসব রাজ্য প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে, তাদেরই এই সম্মান দেওয়া হয়। এই সম্মানে গর্বিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
I am proud to announce that GoWB has won the Prestigious ‘Bhoomi Samman Platinum Award’ from Govt. of India as the ‘BEST STATE’ for our outstanding achievement in the modernization of Land Records.
Bankura, Howrah, Murshidabad & Nadia Districts have also won the District Level… pic.twitter.com/4OLbElQlzv
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 20, 2023
মঙ্গলবার দেশের মোট ৭৫টি জেলাকে এই সম্মান প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। যার মধ্যে ১১টি অর্থাৎ প্রায় ১৫ শতাংশই বাংলার। বাংলার হাওড়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ যে ১১টি জেলায় বিভিন্ন তথ্যের ১০০ শতাংশ ডিজিটালাইজেশন হয়ে গিয়েছে, তাদেরই এদিন সম্মানিত করেছেন রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির থেকে কয়েক মাস আগেই প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি দফতর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কারের ‘পাবলিক প্ল্যাটফর্ম’ বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার দিয়েছে বাংলাকে। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, সড়ক প্রকল্প, একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের বিপুল টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র।
‘অর্থনৈতিক অবরোধ’-এর অভিযোগ তুলে বকেয়ার দাবিতে বহুবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন। কিন্তু, সবটাই ‘অরণ্যে রোদন’-এ পর্যবসিত হয়েছে। এমন তরজার আবহে বাংলার এগারোটি জেলাকে সম্মানীত করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই সম্মান নেন পঞ্চায়েত ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। কেন্দ্রের তরফে তাই এই জেলাগুলি ‘প্ল্যাটিনাম জেলা’র তালিকায় স্থান পেয়েছে।
‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া ল্যান্ড রেকর্ডস মর্ডানাইজেশন প্রোগ্রাম’-এর অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্প। রাষ্ট্রপতি জানান, “সার্বিক গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য জমির রেকর্ড ডিজিটাইজেশন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কল্যাণমূলক প্রকল্পের রূপায়ণে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে ভূমি দপ্তরের রেকর্ড সেকশনের সযুক্তিকরণ অত্যন্ত জরুরি।’” এই প্রকল্পে আধার নম্বরের মতো জমিরও ‘ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর’ দেওয়া হচ্ছে। আধিকারিকদের দাবি, এর ফলে জমি সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা এসেছে। জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি কমছে। তাছাড়া জমি সংক্রান্ত বিবাদের দ্রুত নিস্পত্তি হওয়ায় আদালতেরও অনেক সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.