নব্যেন্দু হাজরা: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের মহাকুম্ভ কি আদৌ ১৪৪ বছর পর হচ্ছে? এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার সেই একই প্রশ্ন তুললেন মমতা। যদিও তিনি বলেন, “আমি এব্যাপারে অজ্ঞ। যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁরা সঠিক তথ্যটা জানান।”
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি যতদূর জানি, ১২ বছর অন্তর মহাকুম্ভ হয়, পুরীর মন্দিরের নিমকাঠের মূর্তিরও ১২ বছর অন্তর পালটানো হয়। এক এক জায়গায় এক এক রকম নিয়ম। কিন্তু যাঁরা বলছেন ১৪৪ বছর কুম্ভ হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। একতরফা প্রচার করা হচ্ছে।” তারপর তাঁর সংযোজন, “যদি ভুল থাকে সংশোধন করে দেবেন। ১৪৪ বছর পর কুম্ভ হচ্ছে বা ১৪৪ বছর আগে কুম্ভ হয়েছিল, আমি এব্যাপারে অজ্ঞ। বিশেষজ্ঞরা যাঁরা আছেন, তাঁদের অনুরোধ, আপনারা গবেষণা করে আমাদের সঠিক তথ্যটা জানান।”
মহাকুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গিয়েছে অনেকের। বারবার অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এদিন ফের সরব হন মমতা। সেই স্মৃতি উসকে তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় মানুষ মারা গিয়েছেন। পদপিষ্ট হয়েছন অনেকে। যাঁরা স্নান করছেন, তাঁদের নিয়ে কিছু বলিনি আমি। তাঁদের প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে। কে কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কী করবেন, এটা যাঁর যাঁর নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু বহু মানুষ স্বজন হারিয়েছেন।”আরও বলেন, “আমি যদি বিয়েবাড়ির আয়োজন করি, বাড়তি খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ৪০০ লোক ডাকলে, ব্যবস্থা করতে হয় ৫০০ লোকের। এটাই পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা। ধর্মের ক্ষেত্রেও কত ক্ষমতা, কত মানুষ আসতে পারেন, কীভাবে পৌঁছতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে পরিকল্পনা করতে হয়।” গঙ্গাসাগর নিয়ে বলেন, “গঙ্গাসাগরের সময় পাঁচ-ছ’দিন ঘুমাই না আমরা। দুর্গাপুজোর সময় কার্নিভাল পর্যন্ত নজরদারি চলে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.