সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানের পর কেটে গিয়েছে পাক্কা দুটি সপ্তাহ। অথচ এখনও পর্যন্ত শহরের বহু জায়গায় স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। ধুঁকছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। টাকা খরচ করেও হয়রানির শিকার গ্রাহকরা। আর তাতেই বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষেবা দেওয়ার নাম করে শুধু সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ নেওয়া হচ্ছে বলে দুটি টেলিকম সংস্থাকে একহাত নেন তিনি। সেই সঙ্গে আরও একবার ক্ষোভ উগরে দেন সিইএসসি’র (CESC) বিরুদ্ধেও।
গত ২০ মে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। যার জেরে মাথার উপর ছাউনি টুকু হারান বহু মানুষ। মৃত্যুও হয় অন্তত ৮৭ জনের। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোমর বেঁধে কাজ শুরু করে প্রশাসন। গাছ কেটে রাস্তা সাফ করতে নামানো হয়েছিল সেনাও। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সে অর্থ বাংলাকে পুনোরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন খাতে ভাগও করে দেওয়া হয়। এমনকী আমফান বিধ্বস্তদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে অর্থও। সাধারণের জীবন স্বাভাবিক করতে সচেষ্ট সরকার। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলির কাজ দেখে একেবারেই খুশি নন মমতা। ঘূর্ণিঝড়ের এতদিন পরও বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা ছন্দে না ফেরায় তিনি তোপ দাগলেন দুটি টেলিকম সংস্থার বিরুদ্ধে।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষ টাকা দিয়েও পরিষেবা পাচ্ছেন না। প্রচুর ভোডাফোন, এয়ারটেল গ্রাহক ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। ব্যবসা করতে হলে ব্যবসার মতো করেই করুন। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। আর কত সময় লাগবে?” একইসঙ্গে সিইএসসি’র কাজেও যে তিনি খুশি নন, তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন মমতা। এখনও কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে অনেকের। এই সমস্যা মেটাতে সিইএসসি’কে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরির পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.