Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee on DYFI

নবান্ন অভিযানে বাম যুবনেতার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, পরিবারকে চাকরির আশ্বাস

সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

WB CM Mamata Banerjee expresses grief on left youth leader's death, offers job to family member | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 15, 2021 5:10 pm
  • Updated:February 15, 2021 5:32 pm  

মলয় কুণ্ডু: মৃত DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার পরিবারকে চাকরি দেবে সরকার। সোমবার এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। মিদ্দার পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রশ্ন করলেন, “মিদ্দা আদৌ কি ওইদিন আন্দোলনে ছিলেন?” DYFI নেতার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ, একথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন ‘মা কিচেন’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিদ্দার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি জানান, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। দুঃখ প্রকাশও করেছি।” আরও বলেন, “যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। কোনও সাহায্যই সেই দুঃখ লাঘব করতে পারে না। তবু তাঁর (মিদ্দা) পরিবার চাইলে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।” তবে DYFI নেতা মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন : তৃণমূলের নাম নিয়ে ফোন করে কুকথা, মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিজেপি আইটি সেল]

এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা প্রশ্ন তোলেন, মিদ্দা কি আদৌ ওইদিনের মিছিলে ছিলেন? কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মিদ্দার মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত দুদিন ধরে ওই যুবকের খবর জানত না তাঁর পরিবারও। পুলিশকেও কিছু জানানো হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে নজর থাকছে পুলিশের।”

চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তিলোত্তমা। বাম ছাত্র-যুবদের আটকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলকামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। পুলিশের ‘অমানবিক’ আচরণে জখম হন বহু ছাত্র-যুব। প্রায় ৪০ জনকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বাঁকুড়ার মইনুল ইসলাম মিদ্দা। গুরুতর জখম মিদ্দার লড়াই শেষ হয় সোমবার। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বামশিবির। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নানরা। 

[আরও পড়ুন : মইনুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মৌলালি, পুলিশকে বেধড়ক মার DYFI কর্মীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement