Advertisement
Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘নিসর্গ নিয়েই শুধু মাথাব্যথা? আমফান বিধ্বস্ত বাংলাকে অপমান করেছে দিল্লির মিডিয়া’, তোপ মমতার

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে ক্ষোভপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।

WB CM Mamata Banerjee attacks Delhi's media on Amphan issue

ফাইল ফটো

Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 5, 2020 4:54 pm
  • Updated:June 5, 2020 5:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার। তা সত্ত্বেও দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলিতে সেভাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ছবি বা খবর সম্প্রচারিত হয়নি। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে সে প্রসঙ্গে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

গত ২০ মে বাংলায় আছড়ে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাংলার একাধিক জেলা। কোথাও ভেঙেছে গাছ। আবার কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তার ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবাও ব্যাহত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও সরেজমিনে বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে দিল্লি। তাই আমফানের ক্ষতি দিল্লির কোনও সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার করেনি। অথচ দিনকয়েক আগে মুম্বইতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। পূর্বাভাস সত্ত্বেও সেভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বাণিজ্যনগরীর। তা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের নিসর্গ নিয়ে বারবার সম্প্রচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। 

Advertisement

আমফান পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ঘটনাকে বারবার কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গেও বিরোধীদের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রসঙ্গে মুম্বই, চেন্নাই এবং ফণী পরবর্তী ওড়িশার সঙ্গে বাংলার তুলনা করেন।  তিনি বলেন, “ফণীর পর ওড়িশায় ১ মাস বিদ্যুৎ ছিল না। চেন্নাইয়েও জল জমা নতুন কিছু নয়। দুর্যোগের সময় রাজনীতি করবেন না। আমি তো বলছি না মোদিকে তাড়িয়ে দিন।” যদিও পালটা এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, “দুর্যোগ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে না। আমরা সহযোগিতা করলেও নেওয়া হচ্ছে না।”

[আরও পড়ুন: ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাওয়ে বাধা, গাড়ি আটকানোয় পুলিশের সঙ্গে বচসা সায়ন্তনের]

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে আমফান বিধ্বস্ত বাংলাকে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, মৎস্যজীবী-সহ প্রায় সকলকেই দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভেরও। পরিবেশ দিবসে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়। ১৪ জুলাই বনদিবসেও সেখানে গাছ লাগানো হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: রেললাইন ধরে হাঁটার সময় বালি হল্টের কাছে ইঞ্জিনের ধাক্কা, যুবকের চোখের সামনে মৃত্যু মা ও বোনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement