সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনিগমের ভোটে নজিরবিহীন ছবি বিধাননগরে (Bidhannagar)। বুথের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল এবং বিজেপির মহিলা প্রার্থীরা। ঘটনার খবর পেয়েই রিটার্নিং অফিসারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। বিধাননগরে ভোটের শুরু থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে। ভুয়ো ভোটার-সহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মিলেছে। তবে ভোট শুরুর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ৩৭ নং ওয়ার্ডের এই ঘটনাই উঠে এল শিরোনামে।
জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ একটি বুথে ঢুকতে যান ৩৭ নং ওয়ার্ডের বিজেপি (BJP)প্রার্থী প্রমিতা সাহা এবং তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মিনু দাস। অভিযোগ, মিনু দাস প্রথমে বাধা দেন প্রমিতাদেবীকে। সেই বাধা কাটিয়ে বিজেপি প্রার্থী বুথে ঢুকে পড়েন। এরপরই তৃণমূল প্রার্থী মিনুদেবী বুথ থেকে প্রমিতাদেবীকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাতেই দু’জনে জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও বাধাই মানেননি কোনও প্রার্থী।
গেরুয়া ও ঘাসফুল শিবিরের দুই মহিলা প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতিতে ক্রমশই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকী পুলিশের বাধা পেরিয়ে বারবার আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে দুই মহিলা প্রার্থীকে। বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহার অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী সেখানে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছিলেন। এমনকী বুথে সকাল থেকেই বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। আর তার প্রতিবাদ করতে গিয়েই তৃণমূল প্রার্থীর হাতে হেনস্তা হতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনাস্থল থেকেই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে নালিশ জানান তিনি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিনু দাস।
শেষমেশ অবশ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি সামলান। তবে অভিযোগ পেয়েই এই নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারের কাছে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন কমিশনার সৌরভ দাস। আপাতত এই ঘটনা ঘিরেই শোরগোল বিধাননগরে। অশান্তির পর বুথ থেকে বেরিয়েও দুই প্রার্থীর বাকযুদ্ধ চলছিল। পরে বিজেপি প্রার্থী সেখান থেকে চলে গেলেও ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। এই ঘটনার পর ওই বুথে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.