নব্যেন্দু হাজরা: বোমাবাজি, গুলি, রক্তক্ষয় – পঞ্চায়েত ভোটের নামে রাজ্যে সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। অবশ্য একাধিকবার অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে প্রাণহানিকে রাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন বারবার। ‘মানবিক’ মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক রং নির্বিশেষে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। অর্থসাহায্য এবং স্বজনহারাদের চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর সেই আশ্বাসেই সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৯ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র ভোটের দিনই মোট ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। সিপিএম ও বিজেপির ৩ জন করে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা তৃণমূল কর্মী। মমতার দাবি, ৭১ হাজারের মধ্যে ৩টি বুথে অশান্তি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও কোচবিহার। পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে নিহতদের ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার স্বজনহারাদের পরিবারের একজন করে পাবেন চাকরিও। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে শাসক-বিরোধীর মধ্যে মতানৈক্যের শেষ নেই। ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে শাসকদল দাবি করে। সে দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রাণ কেড়েছে আরও অনেকের। তবে রাজনৈতিক হিংসায় স্বজনহারাদের পরিবারের সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.