Advertisement
Advertisement

Breaking News

C V Ananda Bose

ন্যায় সংহিতা খতিয়ে দেখতে কেন কমিটি? মুখ্যমন্ত্রীর রিপোর্ট তলব রাজভবনের

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত সদস্যের কমিটি গঠনের কিছুক্ষণের মধ্যে পালটা পদক্ষেপ রাজভবনের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই কমিটি কেন গঠন করা হয়েছে, কী ভূমিকা - রাজভবনের তরফে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

WB C V Ananda Bose seeks report on WB govt committee to look in BNS
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 17, 2024 11:19 pm
  • Updated:July 17, 2024 11:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত সদস্যের কমিটি গঠনের কিছুক্ষণের মধ্যে পালটা পদক্ষেপ রাজভবনের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই কমিটি কেন গঠন করা হয়েছে, কী ভূমিকা – রাজভবনের তরফে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

রাজভবনে অফিসিয়াল X হ্যান্ডেলে বিবৃতিটি পোস্ট করা হয়েছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, তিন ফৌজদারি আইন খতিয়ে দেখতে কেন কমিটি গঠন করা হল, কী ভূমিকা ওই কমিটির সে সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সময়মতো জবাব দিয়েছিল কিনা, তা-ও রাজভবনের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের বক্তব্য অনুযায়ী, “রাজ্যের মধ্যে আলাদা রাজ্য হয়ে উঠতে পারে না বাংলা। ‘বানানা রিপাবলিক’ও হয়ে উঠতে পারে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর মন্তব্য খারিজ সুকান্তর, ড্যামেজ কন্ট্রোলে শমীক]

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ জমানার ভারতীয় দণ্ডবিধি-সহ তিন আইন অতীত হয়ে যায় গত ১ জুলাই। কারণ, ওইদিন থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হয় নয়া তিন আইন – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) বদলে হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। শুরু থেকেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। নয়া ফৌজদারি আইনের বিরোধিতা করে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মূল বক্তব্য, এই আইন প্রণয়ণে বড্ড তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, সব পক্ষের মতামত নেওয়া হয়নি। এবং কেন্দ্র যে ফৌজদারি আইনগুলি আনছে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কিন্তু রাজ্যের যাবতীয় আপত্তি উড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। তার পালটা পদক্ষেপ করে রাজ্য। কেন্দ্রের কার্যকর করা তিন ফৌজদারি আইন খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলাদা কমিটি গঠন করে। সাত সদস্যের সেই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তিনি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ১২ মাওবাদী, আহত জওয়ান এবং পুলিশকর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement