সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি লোকসভা, আরেকটি বিধানসভা। আগামী মাসে রাজ্যের দুই উপনির্বাচন (By election) হতে চলেছে একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। সূত্রের খবর, দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য একশো কোম্পানিরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। সংখ্যাটা ১৩০ কোম্পানি প্রায়। থাকবে রাজ্য পুলিশও। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।
আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ (Ballygaunj) বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। দুটিই হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। একটি কলকাতার অভিজাত, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। আরেকটি কোলিয়ারি জোনের অশান্তিপ্রবণ কেন্দ্র। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি ভাবনাচিন্তা থাকবেই নির্বাচন কমিশনের। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষায় কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশনের কর্তারা। সেই কারণেই এত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুই কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে মোতায়েন থাকতে পারে ১৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তার মধ্যে বাড়তি নজর অবশ্যই থাকবে স্পর্শকাতর বুথগুলিতে।
এ রাজ্যে যে কোনও নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিরোধীদের দ্বন্দ্ব স্বাভাবিক ঘটনা। বিরোধীরা বরাবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষাবলয়ে ভোট করার পক্ষে। এক্ষেত্রে তাঁদের হাতিয়ার অতীত নির্বাচনের হিংসার ঘটনা। উলটোদিকে, কমিশনেরও দাবি, রাজ্য পুলিশই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে যথেষ্ট তৎপর। তাদের উপর অগাধ ভরসা রয়েছে রাজ্যবাসীর। কাজেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। একুশের বিধানসভা থেকে বাইশের পুরনির্বাচন – স্রেফ রাজ্য পুলিশেই ভোট হয়েছে। কিন্তু ২ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বড় সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে।
রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসন পূরণ করতে বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ে প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর তাঁর ছেড়ে আসা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও একইদিনে উপনির্বাচন। ১৬ তারিখ দুই কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.