সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সোমবার বিকেলে প্রচার শেষ। তার ঠিক আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। রাজ্যের নির্বাচনী আবহে অযথা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু ঘৃণাভাষণ দিচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন – এমনই বিবিধ অভিযোগ তুলে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজাদের দাবি, শুভেন্দুকে ‘সেন্সর’ করুক কমিশন।
গত শনিবার তালড্যাংরায় বিজেপির হয়ে প্রচার করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে বক্তব্য রেখেছেন, তার একাংশকে তুলে ধরে তৃণমূল মূলত আপত্তির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সেই ভাষণে শুভেন্দু বলেছিলেন, ”বাংলাদেশের ছবিগুলি দেখেছেন তো? ৫৯৬ টি মন্দির ভেঙেছে। হিন্দুদের উপর কী অত্য়াচার করেছে! এবার পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করতে চায়।” এই বক্তব্য সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বলে মনে করছে তৃণমূল।
সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজারা এই বক্তব্য়ের যথাযথ নথি পেশ করেছেন। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। এর পর সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”আমরা কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, শুভেন্দুকে সেন্সর করার জন্য। যদিও উপনির্বাচনের প্রচার আজ বিকেলেই শেষ। কিন্তু বিষয়টা শুধু একটা উপনির্বাচনের জন্য নয়। নানা সময়ে বিজেপির নেতারা এধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, বাংলাকে অস্থির করে তোলা ধর্মের ভিত্তিতে। নইলে কেন অযথা বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতির তুলনা টানা হচ্ছে? বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বেঘোরে হারবে। তাই এসব বলছে। আমাদের দাবি, বিরোধী দলনেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে।” উল্লেখ্য, একই দাবি নিয়ে সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.