ফাইল ছবি।
রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: পুরভোটের (Civic Polls) আগে অডিও কাণ্ডে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এবার সেই বিতর্কিত অডিও নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি শঙ্কর হালদারের উপর। দ্রুত রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
রবিবার তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে অডিওটি (Audio Tape case) প্রকাশ করা হয়। সঙ্গে লেখা হয়, “স্তম্ভিত! বাংলা বিজেপি আসন পিছু ১ লক্ষ টাকা করে চাইছে। সুকান্ত মজুমদার আপনি আত্মপ্রচারের জন্য এভাবে অর্থ সংগ্রহ করছেন?” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি তো টিকিট দেওয়ার নামে টাকা তুলছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি।” কী ছিল সেই অডিওতে?
বিজেপির জনৈক নেতাকে টাকার বিনিময়ে কলকাতা পুরসভার টিকিট বিক্রি করতে শোনা গিয়েছে। ১টি আসনের জন্য ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই নেতা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও তুলে এনেছেন তিনি। এমনকী, বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। অডিওটিতে নিজেকে বিজেপির শীর্ষনেতাদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ভাইরাল ভিডিওতে যার গলা শোনা গিয়েছে তাঁর নাম প্রীতম সরকার। বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর শিকদারের। জানা গিয়েছে, ফোনে প্রীতমের সঙ্গে কথা হয়েছিল হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চার (HAM) রাজ্য সভাপতি শতদ্রু চৌধুরীর।
হামের রাজ্য শীর্ষ নেতাও এনিয়ে বিজেপির সদর দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছে। তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন শতদ্রু। তাঁর কথায়, “ফোনে আসন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেখলাম পলিটিক্যাল ব্রোকারির ব্যাপার চলে এল। তখনই ঠিক করেছিলাম বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব। কারণ আমাদের লক্ষ্য, বাংলায় এনডিএ-কে শক্তিশালী করা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.