রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভার ঠিক আগে পাঁচ রাজ্যের ফলাফলে ধরাশায়ী হওয়া বিজেপি কর্মীদের জন্য ধাক্কা। স্বীকার করে নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, দলের সাংগঠনিক বৈঠকে স্বীকারোক্তি রাজ্য সভাপতির।
লোকসভার ঠিক আগে পাঁচ রাজ্যের ফলে রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা বেশ হতাশ। তাছাড়া বহু প্রতীক্ষিত রথযাত্রা কর্মসূচিও এখন অথৈ জলে। এর ফলে রাজ্যে ক্রমাগত উজ্জীবিত হতে থাকা গেরুয়া শিবির কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল বলেই দাবি করছিল বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের সেই দাবি কার্যত মেনে নিলেন দিলীপ ঘোষ। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি বলেন, “পাঁচ রাজ্যের ফলে কর্মীদের মধ্যে একটা নিরাশার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল হয়েছিল। তবে, রাস্তায় নামতেই তা কেটে গিয়েছে।” এরপরই কর্মীদের চাঙ্গা করতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ” দূর্বলতর স্থানেও আমাদের লড়াই করার জায়গা তৈরি হয়েছে। হতাশ হওয়ার কারণ নেই, পরিস্থিতি যাই হোক লড়াই করতে হবে। মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। আজকের বৈঠক লোকসভা নির্বাচনের প্রথম সোপান। এই বৈঠককে লোকসভার প্রস্তুতি বৈঠক ধরে কাজ শুরু করে দিন।”
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়েছে। রথযাত্রা নিয়ে বৈঠক চলছে। সমস্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠকে আছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা এবং কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় মতো নেতারা। তিন রাজ্যের ফলের পরে ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের উদ্দেশ্য এই বৈঠক থেকেই উজ্জীবিত করার বার্তা দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “তিন রাজ্যের নির্বাচন ফলাফল ও সূচিমতো রথযাত্রা না হওয়ার জন্য কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। হতাশার কোনও জায়গা নেই। মন শক্ত করতে হবে। সব বাধা কেটে যাবে। ২০১৯-এ বিজেপি এমন রেজাল্ট করবে যে মানুষ চমকে যাবে। কেউ আটকাতে পারবে না। এটা লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি বৈঠক ধরে নেমে পড়ুন ময়দানে। বিধানসভা, লোকসভাভিত্তিক সভা হবে। ফেব্রুয়ারিতে প্রথমে ব্রিগেড সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.