সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আন্দোলনকারীকে পুলিশের ‘কামড়’, তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে একদল। তেমনই অনেকে আবার পুলিশের আচরণকে সমর্থন করেছেন। স্পিকারের গলাতেও সমর্থনের সুর। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
কামড় প্রসঙ্গে উঠে এসেছে একাধিক থিওরি। গতকাল পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালই নাকি আগে কামড় দিয়েছিলেন পুলিশকে। সেই ফুটেজও নাকি রয়েছে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে কামড়ে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর হয়ে সওয়াল করেছেন অনেকেই। শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্ররোচনা দিলে অনেক কিছুই হতে পারে।” অর্থাৎ অভিযুক্ত পুলিশের আচরণের পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। এ বিষয়ে এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যা হয়েছে ঠিক হয়নি। পুলিশের কোড অফ কন্ডাক্টে এটা করা যায় না। তবে কী হয়েছে, সেই তদন্ত হচ্ছে।” বিরোধীরা আন্দোলনকারীদের উসকানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে কামড় প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি বলেন, জোর করে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিনের পর দিন পুলিশের উপর হুজ্জতি চলছে। কেউ যদি পুলিশকে কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কি রসগোল্লা ছুঁড়বে?” তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। বামেদের কথায়, “ওনার ভীমরতি হয়েছে।” তৃণমূলকে ‘পাগল কুকুর’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস।
উল্লেখ্য, বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টেট উত্তীর্ণরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করা হয়। প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। অশান্তির মাঝে বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালের দিকে ছুটে আসেন ইভা থাপা নামে এক পুলিশকর্মী। হাতে কামড় বসান ওই মহিলা পুলিশকর্মী। যদিও পুলিশের তরফে পালটা অরুণিমার বিরুদ্ধে মারধর ও কামড়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.