Advertisement
Advertisement
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’, কেন্দ্রীয় দল নিয়ে বলতে গিয়ে তাই চার ঘণ্টা বসে থাকলেন স্পিকার

লোকসভার স্পিকারের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

WB Assembly Speaker humilited by awaiting 4 hours on Tuesday

ফাইল চিত্র।

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 22, 2020 9:42 am
  • Updated:April 22, 2020 9:44 am  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্র যেভাবে রাজ্যের সরকারকে না জানিয়ে দল পাঠিয়েছে, ভেবেছিলেন সে কথা বলেই শুরু করবেন। আইনসভার প্রধান লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে উগরে দেবেন আক্ষেপ। কিন্তু এই সামান্য কথাটুকু বলার জন্য ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কেন? কারণটা স্রেফ রাজ্যের নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ বলে! আর শুধুমাত্র এই কারণেই ফের মঙ্গলবারের এই আলোচনায় রাজ্যের নাম এল সবার শেষে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ভিডিও কনফারেন্সে সবকটি রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে চেয়েছিলেন কোন রাজ্য করোনা মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম ধরে রাজ্যগুলির ডাক পড়তে থাকে। তাতেই বাধে বিপত্তি। এ রাজ্যের ইংরেজি নাম অনুযায়ী সবার শেষে আসে বাংলার নাম। সকাল ১১টায় এদিন কনফারেন্স শুরু হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, রাজ্যপাল-বাবুলের টুইটারের সপাট জবাব ফিরহাদের]

একেবারে শেষ পর্বে বিকেল তিনটেয় শিকে ছেঁড়ে বাংলার। তখনই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। মুখ খুলে প্রথমেই নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। পরে বলেন, “ওয়েস্ট বেঙ্গল নাম বলে সবার শেষে আমাদের ডাক পড়ল। সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনা করে রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলা করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম অনেক আগে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হল না। লোকসভার অধ্যক্ষকে আবেদন করলাম এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।” তার কথায়, “অনেক রাজ্যের নাম পরিবর্তন হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের নামের কেন পরিবর্তন হবে না?”

বিমানবাবুর আক্ষেপের কথা সবটা শুনে পরিস্থিতি বুঝে নোট করে নেন বিড়লা। পরে রাজ্য করোনা নিয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চান। টানা ১৫ মিনিট এরপর বলে যান বিমানবাবু। প্রথমেই বলেন, “এসব জানার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের প্রয়োজন ছিল না। সবকিছু স্বাস্থ্যভবনের ওয়েবসাইটেই দেওয়া রয়েছে। তার পরেও আমি কিছু তথ্য দিই ওনাকে।” শেষে রাজ্যের দাবিমতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর চাওয়া ২৫ হাজার কোটি টাকার কথা তোলেন। আবেদন করেন এ নিয়ে বাংলার ন্যায্য দাবি তুলে ধরুন লোকসভার অধ্যক্ষ।

[আরও পড়ুন: তথ্য গোপনের অভিযোগ, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির]

একেবারে শেষ পর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে চলে আসার বিষয়টি তুলে ধরেন বিমানবাবু। বলেন, “লোকসভার অধ্যক্ষকে জানিয়েছি বিষয়টা আমি আপনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে কেন্দ্রের দল এভাবে রাজ্যে চলে আসাটা ঠিক হয়নি।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement