ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নন্দীগ্রাম (Nandigram) নিয়ে এবার নয়া উদ্বেগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ ভোটের (WB assembly polls) মুখে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট এই কেন্দ্রটিতে ঢুকে পড়েছে বহু বহিরাগত দুষ্কৃতী। ভোটের মধ্যে এরা অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে, এই আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি লিখে ফেলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
নিজেদের অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট কিছু জায়গার উল্লেখ করে দিয়েছে শাসক শিবির। তাঁদের দাবি, এই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহিরাগতদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। কমিশনকে (Election Commission) লেখা চিঠিতে তৃণমূল নির্দিষ্ট করে কালীপদ শি, মেঘনাথ পাল, পবিত্র কর এবং ভজহরি সামন্ত নামের চার বিজেপি নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম উল্লেখ করেছে। শাসক শিবিরের দাবি এই বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে এমন বহু মানুষ আস্তানা গেড়ে রয়েছেন, যারা নন্দীগ্রামের ভোটারই নন। অশান্তি পাকানোর উদ্দেশে আশেপাশের এলাকা থেকে এঁদের এই কেন্দ্রে আনা হয়েছে। কমিশনকে লেখা চিঠিতে ডেরেক দাবি করেছেন, সব মিলিয়ে শতাধিক বহিরাগত এই এলাকায় বাইক নিয়ে দাপট দেখাচ্ছে। এমনকী এদের সঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নিয়মিত যোগাযোগ আছে। এই বহিরাগতদের সঙ্গে শুভেন্দুর এক নির্বাচনী এজেন্টকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলেও দাবি জোড়াফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র এই নন্দীগ্রাম। এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে প্রচারে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়েছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও একযোগে নেমেছেন মমতাকে হারাতে। আবার শেষবেলায় মমতা নিজে এই কেন্দ্রে দু’দিনের জন্য প্রচার করবেন। নামবেন শাসক ঘনিষ্ঠ সেলেবরাও। এসবের মধ্যেই তৃণমূলের (TMC) আশঙ্কা, শেষবেলায় গেরুয়া শিবির বহিরাগতদের সাহায্যে নন্দীগ্রামে অশান্তি পাকাতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.