Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta HC

ভোটের ফল নিয়ে আইনি লড়াই, নন্দীগ্রামের পর আরও ৪ কেন্দ্রের ফলাফলে মামলা TMC প্রার্থীদের

ভোটপ্রক্রিয়ার যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে, বলরামপুরের প্রার্থীর আবেদনে নির্দেশ বিচারপতির।

WB assembly polls: TMC candidates seek recounting in 4 more seats | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 18, 2021 4:54 pm
  • Updated:June 18, 2021 4:57 pm  

শুভঙ্কর বসু: নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্বাচনী ফলাফলের পুনর্বিবেচনায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন সেখানকার হেভিওয়েট প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে রাজ্যের আরও চার বিধানসভার ফলাফল নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। এর মধ্যে বলরামপুরে (Balarampur) তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ভোটপ্রক্রিয়ার যাবতীয় নথিপত্র ভালভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে। বাকি আসনের মামলা নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা মেলেনি।

বলরামপুর ছাড়াও গোঘাট (Goghat), ময়না (Moyna), বনগাঁ দক্ষিণের (Bongaon Dakshin) প্রার্থীরা পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আবেদন জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, দলের অনুমতি নিয়েই ভোটগণনা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রার্থীরা। বলরামপুরে মাত্র ৪২৩ ভোটে বিজেপি প্রার্থী বাণেশ্বর মাহাতোর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) শান্তিরাম মাহাতো। বনগাঁ দক্ষিণ থেকে আলোরানি সরকার, গোঘাট থেকে মানস মজুমদার, ময়না থেকে সংগ্রাম কুমার দোলুই – সকলেই ভোটে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থীদের কাছে। কিন্তু প্রার্থীরা এই ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দিহান। তাই দলের অনুমতিসাপেক্ষে তাঁরা সকলেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আবেদন একটাই, পুনর্গণনা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মমতার নন্দীগ্রাম মামলার বিচারপতির বিজেপি যোগ! হাই কোর্টে বিক্ষোভ আইনজীবীদের]

জানা গিয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। শুক্রবার নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলার শুনানিতে তিনি কেবলমাত্র বলরামপুরের প্রার্থীর আবেদন শোনেন। তারপর RO এবং DEO কে নির্দেশ দেন, ভোটপ্রক্রিয়ার যাবতীয় খুঁটিনাটি নথি যেন সংরক্ষণ করা হয়। এমনিতে নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৪৫ দিন পর্যন্ত এসব নথি থাকে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসকের কাছে। একুশের ভোটের ফল বেরিয়েছে ২ মে। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জুলাই। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে যাতে কোনও নথি নষ্ট না হয়, তাই তা সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বাকি তিন কেন্দ্রের শুনানিতে কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে পরাজিত প্রার্থীরা।

[আরও পড়ুন: হাওড়া নয়, দাশনগর পর্যন্ত চলছে স্টাফ স্পেশ্যাল, প্রতিদিন ঝুঁকির যাত্রায় ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement