বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: শরীর এখন অনেকটাই সুস্থ।তাই পোস্টাল ব্যালটে নয়। ভোটকেন্দ্রে গিয়েই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। একই ভাবনার শরিক অশীতিপর বিমান বসুও। আশি পেরলেও তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। লাল ব্রিগেডের দুই প্রবীণের এই মানসিক দৃঢ়তা জোর বাড়াচ্ছে তরুণদের।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা দীর্ঘদিনের, ছিলেন শয্যাশায়ী। গুরুতর অসুস্থতার কারণে দু-দু’বার হাসপাতাল থেকে ঘুরেও আসতে হয়েছে। দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। অসুস্থতার কারণে লোকসভার নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে পারেননি তিনি। হাজির হতে পারেননি ব্রিগেডের সমাবেশ।
এবার করোনার কারণে গুরুতর অসুস্থ বা আশি ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য ১২ডি ফর্ম পূরণ করে আবেদন জানাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের কয়েকদিন আগেই কমিশনের কর্মীরা হাজির হয়ে ব্যালট সংগ্রহ করছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বালিগঞ্জ কেন্দ্রের ভোটার। সেখানে ২৬ তারিখ ভোট। মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও বুদ্ধবাবু এখনও নির্দিষ্ট ফর্ম জমা করেননি বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে পার্টির তরফে কথা বলা হয়। কিন্তু পোস্টাল ব্যালট মারফত ভোট দিতে নারাজ বুদ্ধবাবু। তিনি চান, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভোটদানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) জানান, লোকসভা ভোটের সময় গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধবাবু। এবার অনেকটাই সুস্থ। ঘরের মধ্যে হাঁটাচলাও করছেন। তাই ভোটদানের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বলে জানান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
আবার দু’বছর আগেই আশি পেরিয়েছেন পক্ককেশী বিমান বসু। তাই কমিশনের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কমিশনের কর্মীরা ভোটদান নিয়ে তাঁর মতামত চাইলে সটান না করে দিয়েছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন বিমানবাবু। তিনি জানান, “এখনও প্রতিদিন নিয়ম করে ভোটের প্রচারে হাজির থাকি। আশি পেরলেও শরীরে কোনও রোগ দানা বাঁধতে দিইনি। তাই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.