শুভঙ্কর বসু: দফা কমছে না, বঙ্গের বাকি ভোট হবে চার দফাতেই। এ নিয়ে বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আর শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের দাবি সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্তই বলবৎ রইল। দফা কমানো সম্ভব নয়, বরং কোভিডবিধি আরও কঠোরভাবে মেনে ভোট গ্রহণের পক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রচারে রাশ টানা নিয়ে বিজেপির বক্তব্য, ভারচুয়াল প্রচার সম্ভব নয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা, মিছিল করতে চায় গেরুয়া শিবির।
পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে শুক্রবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পৌঁছন রাজনৈতিক দলের দু’জন করে প্রতিনিধি। সকলেই নিজেদের বক্তব্য জানান রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে। বিজেপি (BJP) প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তর স্পষ্ট বক্তব্য, ভারচুয়াল প্রচার সম্ভব নয় এখন। বরং ভোটগ্রহণ পর্বে সংক্রমণ এড়াতে আরও কড়াকড়ি হোক বিধি। শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে ভোটের লাইন আরও দীর্ঘ করা হোক। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএমের (CPM) রবীন দেব জানান, তাঁদের দল প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত। অন্যরাও বামেদের মতো প্রচার বন্ধ করুক, নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন ভোটের দফা আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল না। তা সত্ত্বেও নিজেদের দাবি পেশ করতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC) তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের বলেন, ১৭ তারিখ বাদ দিয়ে বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে হোক। তবে তা যে সম্ভব নয়, সেকথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সর্বদল বৈঠকের এইসব বক্তব্য দিল্লি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রাজনৈতিক দলগুলির কোন আরজি কতটা, কীভাবে মেনে নেওয়া হবে, তা স্থির করা হবে। তবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যতই একদফা ভোটের পক্ষে সওয়াল করুক, কোনওভাবেই তা মঞ্জুর হচ্ছে না, তা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.