Advertisement
Advertisement
প্রশান্ত কিশোর

হাসি কেন উবে গেল জঙ্গলমহলের? কারণ খুঁজছেন প্রশান্ত কিশোর

সল্টলেকে অফিস খুলে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই রাজনৈতিক রণকৌশলবিদ।

Vote stragiest Prashant Kishore makes plan for TMC in Jungle Mahal
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 29, 2019 5:38 pm
  • Updated:July 29, 2019 5:38 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভময় মণ্ডল: এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট বৈতরণী পার করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। আর এই কাজে জঙ্গলমহলকেই পাখির চোখ করেছেন রাজনৈতিক রণকৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে তিনি সমীক্ষার কাজও শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘দিদি কে বলো’, এবার রাজ্যবাসীর সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগে মমতা]

Advertisement

উন্নয়ন তো দূর অস্ত, একসময়ে জঙ্গলমহলের মাওবাদীদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিত্যদিন খুন-সন্ত্রাস লেগেই থাকত। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরই ধীরে ধীরে অবস্থা বদলাতে শুরু করে জঙ্গলমহলের। কিষেণজির মৃত্যুর পর জঙ্গলমহলের মাওবাদীদের কার্যকলাপেও ভাঁটা পড়তে শুরু করেছিল। আর এখন তাদের কার্যত কোনও অস্তিত্বই নেই বলা চলে। শুধু মাওবাদীদের বাগে আনাই নয়, জঙ্গলমহলের প্রান্তিক মানুষের জন্য দু’টাকা কিলো দরে চাল-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, একসময়ই তাঁর স্লোগানই ছিল, ‘জঙ্গলমহল হাসছে’। কিন্তু জঙ্গলমহলেও যে তলে তলে বিজেপি প্রভাব বাড়িয়েছে, তা প্রথম টের পাওয়া গিয়েছিল গতবছর পঞ্চায়েত ভোটের সময়। পঞ্চায়েত তো বটেই, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতিতে রাজ্যের শাসকদলকে ধরাশায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।

এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের পর জঙ্গলমহলে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলও চরমে পৌঁছায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, এমনকী, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটিও তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। একমাত্র ঘাটাল কেন্দ্রে জিতেছেন শাসকদলের প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব। ভোট মিটতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল কেন? কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন রাজনৈতিক রণকৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর।

তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার উপর ভর করে দল চলে। সংগঠন তৈরির দিকে সেভাবে কোনওদিনই নজর দেননি তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু ক্যাডার ভিত্তিক দলের বুথকর্মীদের গুরুত্ব তো কম নয়! সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই এবার প্রতিটি বুথে সর্বক্ষণে কর্মী নিয়োগও করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সোমবারই ‘দিদি কে বলো’ নামে জনংযোগের নয়া কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকী, নজরুল মঞ্চে দলের বিধায়কদের সঙ্গে দলনেত্রীর বৈঠকস্থল প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে সাজানো হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলায় এবার মুকুল রায়কে নোটিস কলকাতা পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement