ফাইল ছবি
রাহুল রায়: বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষ মেলার অনুমতি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মেলা হবে কি না, সে বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে আদালত। অর্থাৎ আদৌ মেলার মাঠেই মেলা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেই।
বোলপুরের একটি বড় উৎসব পৌষমেলা। বহু মানুষের সমাগম হয় সেখানে। যার ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকেই। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে এক বোলপুরের বাসিন্দা। তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। সেখানে বিশ্বভারতী জানায়, আগে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু কেউ-ই সেই শর্ত মানার উৎসাহ দেখান না। ফলে মেলা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও বিশ্বভারতীর মাঠে মেলার আয়োজনে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। এরপর রাজ্যের তরফে বিকল্প জায়গায় মেলার আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এসবের মাঝেই বিশ্বভারতীয় মাঠেই মেলার আয়োজনের আরজি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বোলপুরের এক বাসিন্দা। সেই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মেলার অনুমতি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। মামলা ফিরিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মেলা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই বিশ্বভারতীর। বিশ্বভারতী পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর (Coronavirus) জন্য বন্ধ ছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। পরের বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন, ছোট করে হলেও পৌষমেলা হবে। এই মর্মে মাঠ চেয়ে বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠিও দেয় বোলপুর পৌরসভা। মেলা করার জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আবেদন করে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বাধ্য হয়ে গতবছর বোলপুরের ডাকবাংলো ময়দানে বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ‘বিকল্প পৌষমেলার’ আয়োজন করে ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। এবছরও মেলা নিয়ে দোলাচল জারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.