Advertisement
Advertisement

Breaking News

Safe home

করোনা যোদ্ধাদের জন্য সেফ হাউস তৈরিতে বাধা স্থানীয়দের, ধুন্ধুমার নিউটাউনে

বাসিন্দারা নিজের দাবিতে অনড় থাকায় পিছু হটতে বাধ্য হল প্রশাসন।

Violence in New Town over corona safe house building
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 12, 2020 7:25 pm
  • Updated:August 12, 2020 7:25 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: করোনা মোকাবিলায় ব্রতী চিকিৎসক-নার্সদের জন্য সেফ হাউস তৈরি করতে গিয়ে নিউটাউনের ঘুনি-যাত্রাগাছি রোডের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল প্রশাসনিক কর্তাদের। বিক্ষোভ সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে পৌঁছে যান বিধানননগরের পুলিশ কমিশনারও। যান স্বাস্থ্যদপ্তরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক। কিন্তু বাসিন্দারা নিজের দাবিতে অনড় থাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।

[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী, লিখলেন ‘ফ্যাকাশে’ পৃথিবীর কথা]

রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছিল সেফ হাউসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সেই মতো, রাজারহাট নিউটাউন সংলগ্ন ঘুনি পঞ্চায়েতের যাত্রাগাছি এলাকাতে একটি সেফ হাউস গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে এলাকার বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মঙ্গলবার রাত থেকে। এদিন রাতে ঘুনি সেফ হাউসে এক করোনা যোদ্ধাকে রাখার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। তাতেই এলাকার বাসিন্দারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঘিরে ফেলেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের। অভিযোগ, স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের গাড়ির উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। পরে স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য ওই এলাকাতে গেলে তাকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। এরপরেই নিউটাউন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ সিং। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে ওই জায়গা থেকে সরে যায় প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খুন নাকি আত্মহত্যা? বাড়ির সামনে থেকে করোনা রোগীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ধন্দে পুলিশ]

বুধবার পর্যন্ত ওই জায়গায় সেফ হাউস গড়ে তোলা যায়নি। এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, নিউটাউনে একটি সেফ হাউস গড়ে তোলা হলেও তা নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। তবে ওই এলাকাতে আরও সেফ হাউসের প্রয়োজন আছে। সেই কারণে এই অঞ্চল সংলগ্ন ফাঁকা এলাকাতেও জায়গা খোঁজার কাজ শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার পরে যাত্রাগাছি এলাকাতে সেফ হাউস গড়ে তোলার বিষয়টি কার্যত আরও কঠিন হয়ে উঠল। সেই কারণে নিউটাউনের ফাঁকা এলাকাতেই এবার সেফ হাউস খোঁজার কাজ শুরু করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement