ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: ঘুঘুর বাসা শিয়ালদহ পার্সেল, অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার পণ্য বুকিংয়ের স্থল (আউট ওয়ার্ড কাউন্টার) থেকে হিসাব বহির্ভূত ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করল পূর্ব রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগের আধিকারিকরা। তদন্তকারী আধিকারিকদের কথায়, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রোজই এমন বাড়তি টাকা সরিয়ে ফেলা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানোর তা ধরা সম্ভব হয়েছে।
ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর, এই টাকার কোনও রকম হিসাব দেখতে পারেনি পার্সল ক্লার্ক অমিত ও কৈরী নামের দুই কর্মী। বুধবারই তাদের সিনিয়র ডিসিএমের দপ্তরে ‘বুকঅফ’ করা হয়েছে। ওই সূত্রে জানা গিয়েছে, পণ্য বুকিংয়ের পর তার যথাযথ ওজন দেখানো হয় না। কম দেখানো হয়। কিন্তু ভাড়া নেওয়া হয় সব পণ্যের। এই কম ওজন দেখিয়ে বাড়তি টাকা পকেটে পুরে নেন পার্সেল কর্মীরা। এতে রেলের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়তি পণ্য বেআইনিভাবে তোলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।
পাশাপাশি আগে এলে আগে বুকিং, এই নিয়ম ভেঙে পরে আসা পার্টির পণ্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করেও বাড়তি টাকা আদায় হয় বলে ভিজিল্যান্সের মত। দৈনিক এই বেআইনি কারবারের কথা রেলকর্তাদের একাংশের জানা। যদিও শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্সেল বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে এক শ্রেণির কর্মীরা এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।” সব পার্সেল ডিপোগুলি আজ একই অবস্থা বলে পূর্ব রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ সূত্রে হানা গিয়েছে। এভাবে রেলে আয় ব্যাহত হওয়ায় চিন্তিত রেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.