রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের শেষলগ্নে কলকাতায় মহামিছিল করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে নিয়ে আসার সময় গন্ডগোল শুরু হয়। তারপর কলেজে থাকা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে এই ঘটনার জেরে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়। তবে এখনও পুরো সত্য সামনে আসেনি। আর এর মাঝেই মূর্তি ভাঙার ঘটনা ষড়যন্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। বিদ্যাসাগরের মতো মহাপুরুষদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করাই উচিত বলে উল্লেখ করলেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই দিল্লি থেকে কলকাতা এসেছেন নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূলের নাম না করে মূর্তি ভাঙার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অমিত শাহের মহামিছিলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ষড়যন্ত্র ছিল। ওনার মতো মানুষকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করাই ভাল।’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে রাজ্য দপ্তরে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজেপি কি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব, বিদ্যাসাগরের জীবনী ছোট থেকে পড়েছি। যাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই তাদের বিদ্যাসাগরের জীবনী পড়া উচিত। সায়ন্তন বসুর কথায়, কোনও ড্যামেজ কন্ট্রোল নয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় চার্জশিটে আমাদের কারও নাম আছে কি? দলের মণ্ডল কমিটিগুলিতে বর্ণপরিচয়ের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হবে। তৃণমূল তো সব কিছুকেই আরবি ভাষা করে দিচ্ছে। জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, বিদ্যাসাগরকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। দেখানোর জন্য নয়।
বিজেপির রাজ্য দপ্তরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাড়াও বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন, রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজকমল পাঠক প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.